সন্তান জন্মদানে পুরুষের জেনে রাখা উচিৎ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ৭, ২০১৮

যেহেতু নারীরা গর্ভধারণ করে তাই বেশিরভাগ মানুষের ধারণা সন্তান হওয়ার ব্যাপারটা নির্ভর করে মেয়েদের উপরই। কিন্তু এই প্রচলিত মিথটি একেবারেই ঠিক না। আমরা শিক্ষিত সমাজের মানুষেরা সবাই জানি যে একটি মানবশিশুর জন্ম দিতে গেলে নারী-পুরুষ উভয়েরই প্রয়োজন। নারীরা যেমন গর্ভধারণ করেন, তেমনি পুরুষেরা গর্ভে বীজ প্রদান করেন। এসময়ে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর ক্রিয়ায় ভ্রুণ তৈরি হয় এবং তা প্রায় ১০ মাস গর্ভধারণের পর একটি মানবশিশু ভূমিষ্ঠ হয়। এমনকি সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তাও নির্ধারিত হয় পুরুষের কারণেই। তাই সন্তান উৎপাদন সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় পুরুষদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।

পুরুষের খাদ্যাভাস, স্বাস্থ্য এবং কর্ম পরিবেশ সন্তান উৎপাদনের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে :
একজন পুরুষের খাদ্যাভাস, স্বাস্থ্য আর কর্ম পরিবেশ Children উৎপাদন ক্ষমতার ওপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন ধরুন, ধূমপান পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা, আকৃতি এবং কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটাতে সক্ষম। আবার আপনার কর্মক্ষেত্র যদি কোনো রাসায়নিক পদার্থের মাঝে হয়ে থাকে তবে এগুলোর কারণে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুক্রাণুর স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলতে পারে। খাদ্যাভাসও ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেমন আপনি যদি একজন অ্যালকোহলিক হয়ে থাকেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকবেন। আর এর ফলে আপনার শুক্রাণুর কর্মক্ষমতা অনেক কম থাকবে এবং এটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল হবে।

পুরুষদের ক্ষেত্রেও বয়স অনেক বড় একটি বিষয় :
আমরা স্বাভাবিকভাবেই জানি যে নারীদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমার উপরে নির্ভর করে থাকে। যেমন ৩০ বছর বয়সে নারীরা যেখানে প্রতি মাসে ২০ শতাংশ সময় গর্ভধারণের ক্ষমতা রাখেন, সেখানে ৪০ বছরে তা নেমে আসে ৫ শতাংশে। ঠিক তেমনই পুরুষদের একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতার। গবেষকরা বলেছেন যে, পুরুষদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা বয়স বাড়ার সাথে দিনদিন হ্রাস পেতে থাকে। এমনকি ক্ষমতাটি হারিয়েও ফেলেন। তবে বয়সের একটা উচ্চ পর্যায়ে গিয়ে তা আবার নতুন উদ্যমে ফিরে পান। যেখানে একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধা উৎপাদন ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হন, সেখানে ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধ Children উৎপাদন ক্ষমতা আবার ফিরে পান।

উত্তাপ শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর :
যেকোনো ধরনের উত্তাপ পুরুষদের শুক্রাণুর জন্য বেশ ক্ষতিকর। উত্তাপের ফলে শুক্রাণু এর কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। দেখা যায় যে অনেকেই গরম পানি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ গোসল করতে পছন্দ করেন, আবার অনেকে অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে বসার সিটটি উত্তপ্ত হয়ে যায়। এগুলো আসলে পুরুষদের শুক্রাণুর জন্য একবারেই স্বাস্থ্যকর না।

সন্তান না হওয়ার পেছনে পুরুষতেরই বেশি দায় :
আদিমকালের সমাজে দেখা যেত যে Children যদি না হত তাহলে স্ত্রীদেরই দোষারোপ করে আসত এবং পুরুষেরা একের পর এক বিয়েও করে আসত। কিন্তু ধরতে পারত না আসল সমস্যাটি কার। নারীরা ক্ষেত্রবিশেষে বন্ধ্যা হতে পারে তবে এর চেয়ে বহুগুণ বেশি পুরুষদের অনুৎপাদনশীলতার হার। দেখা যায় সন্তান না হওয়া নারী পুরুষের মাঝে মাত্র এক তৃতীয়াংশ থাকে নারীদের সমস্যা সম্বলিত, বাকি দুই তৃতীয়াংশ হয়ে থাকে পুরুষদের অনুৎপাদনশীলতার কারণে।

আর/এস

Leave a Comment