হাতের কাটাদাগে কসমেটিক সার্জারি!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮

আজকাল প্রচুর ছেলে-মেয়ে তাদের হাত ব্লেড দিয়ে কাটচ্ছে অথবা খোদাই করে প্রিয়জনের নাম লেখছে । এসব ক্ষেত্রে মূলত: ছেলে-মেয়েরা অথবা ক্ষেত্র বিশেষ বাবা-মা অভিভাবকগণ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। জীবনের কোন বিশেষ মূহুর্তে অথবা জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে কিছু দিয়ে কেটে প্রতিশোধ নিতে চায়। আবার অনেকে হাতের ওপর কেটে প্রিয়জনের নাম লিখে নেয়। জীবনে যখন বাস্তবতা আসে তখন আবেগ ফিকে হতে শুরু করে, তখন এসব ছেলে-মেয়েরা মুছে ফেলতে চায় এসব কালো স্মৃতি চিহ্ন। ভেবে পায় না কোথায় যাবেন? ছুটে যান লেজার সেন্টারে। লেজারে কাটা দাগের কোন উপকার হয় না। প্রয়োজন হয় কসমেটিক সার্জারির। বিশেষ করে ছেলে-মেয়েরা যখন বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যায় তার আগেই কাটা দাগ দুর করতে তৎপর হয়ে উঠে পরিবারগুলো। তবে মনে রাখতে হবে এ ধরণের কাটাদাগ কসমেটিক সার্জারির পর সম্পূর্ণ ঠিক হতে কমপক্ষে ৩ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগে। তাই কোন কসমেটিক বা প্লাস্টিক সার্জনের কাছে যাবার
আগে হাতে সময় নিয়ে যাবেন।

শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ পর্যন্ত কাটাদাগ দুর করে ত্বক আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় আনা যায়। আর এ ধরণের কসমেটিক সার্জারির খরচও খুব একটা বেশী নয়। শুধু হাতে ব্লেড দিয়ে কাটাদাগ নয়, মুখে ব্রণের বড় গর্ত, পুরাতন কোন কাটা দাগ, দুর্ঘটনা জনিত ক্ষত ইত্যাদি কসমেটিক সার্জারীর সাহায্যে দুর করা যায়। পাশাপাশি বড় ধরণের মোল, স্কিন টিউমারও কসমেটিক সার্জারীতে নিরাময় হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সার্জন যদি দক্ষ হন তবে পরবর্তীতে কোন ধরণের অপারেশনের দাগ থাকে না। তবে কসমেটিক বা প্লাস্টিক সার্জন নির্বাচন করার আগে অবশ্যই যাচাই-বাচাই করে নেবেন এবং যিনি সার্জারি করছেন তার এ ধরণের সার্জারী করার কোন প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা আছে কিনা। তা না হলে প্রতারিত হবার সমূহ ঝুঁকি থেকে যাবে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 


 

Leave a Comment