জেনে নিন এসময়ের হাতঘড়ির স্টাইল সম্পর্কে

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • নভেম্বর ৪, ২০১৭

জারিফ সবে মাত্র স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। প্রথম স্কুলে যাবে তাই নতুন জামা, জুতা , ব্যাগ বইয়ের পাশাপাশি নুতন ঘড়িও কিনেছে। বর্তমান সময়ে ছোট বড় সবাই ফ্যাশন সচেতন। এ সময়ের ফ্যাশনেবল তরুণ/তরুণীরা চওড়া স্টেইনলেস স্টিল, চেইন এবং ক্রিস্টাল পাথরের বেল্টের ঘড়ি পরে। এই ঘড়িটা দেখতে কিছুটা ব্রেসলেটের মতও লাগে।

ছোটদের ঘড়িতে বিভিন্ন ধরণের আকর্ষণীয় খেলা থাকে। একদিকে ঘড়ির কাজ হয়, অন্য দিকে শিশুদের খেলার উপকরণও হয়। মানুষের ব্র্যান্ড সচেতনতা বেড়েছে। যেসব ব্র্যান্ডের ঘড়ির জনপ্রিয়তা রয়েছে তার মধ্যে পিরেরে ডুরাল্ড, ফিনিপ পাটেক, পিরেরে কার্ডিন, লনজিন্স, সিটিজেন, ক্যাসাব্লাঙ্কা, সিকো, ফাস্ট ট্র্যাক, টাইটন, ওমেগা, রোমানসন, রোলেক্স, টিসট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

দরদাম :

ব্র্যান্ড এবং মানের ওপর নির্ভর করে হাতঘড়ির দাম পড়বে ১ হাজার/দেড় হাজার থেকে ২০/২২ লাখ টাকা পর্যন্ত। কম দামে দেশীয় ব্র্যান্ডের ভাল ঘড়ি কিনতে পারবেন ২০০/২৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। সবথেকে কম দামে ভাল মানের বিভিন্ন ধরনের ঘড়ি কিনতে পাওয়া যায় পাটুয়াটুলিতে।

আপনার ঘড়ি কেমন হবে :

আপনার হাত মোটা হলে চিকন বেল্টের ঘড়ি পরবেন আর হাত চিকন হলে চওড়া বেল্টলের ঘড়ি পরবেন। যারা পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে ঘড়ি পরতে চান তারা ঘড়ির ডায়ালের রঙটা এমনভাবে নির্বাচন করুন যাতে কমবেশি সব পোশাকের সাথে মানিয়ে যায়।

মধ্যবয়সী মেয়েরা অফিসে, পার্টিতে চিকন বেল্টের এবং ডায়ালের ঘড়ি পড়তে পারেন।

আপনার হাতঘড়ির স্টাইল :

  • ঘড়ির ডায়ালটা হাতের পিঠের দিকে ঘুরিয়ে পরতে পারেন। হাতের কব্জির কাছাকাছি এনে ঢিলেঢালাভাবে ঘড়ি পড়াটাই অনেকের কাছে আধুনিকতা।
  • হাতের আঙ্গুলে রিং ঘড়ি পাওয়া যায়। আপনার আঙ্গুলের সেপ সুন্দর হলে কিংবা ব্যবহারের সুবিধার্থে আঙ্গুলে রিং ঘড়ি পরতে পারেন।
  • হাতের কব্জি  চিকন হলে মেটাল বেল্টের পরিবর্তে লেদার টাইপ বেল্ট বেশি মানাবে।
  •  অফিস বা পার্টিতে মেটাল বেল্টের ঘড়ি মধ্যবয়সীদের কাছে আভিজাত্যের প্রতীক।
  • মেয়েদের হাতে চিকন বেল্ট কিংবা ছোট ডায়ালের ঘড়ি বেশি মানানসই।
  • যাদের লাইফস্টাইলের কারণে হাতঘড়ির রাফ ইউজের সম্ভাবনা রয়েছে তারা সম্ভব হলে সাফায়ার ক্রিস্টালের হাতঘড়ি কিনতে পারেন।

তথ্য এবং ছবি সংগ্রহ : গুগল

Leave a Comment