ব্রণ নিয়ে যতো ভুল ধারণা!

  • রেজবুল ইসলাম 
  • মার্চ ১৭, ২০১৮

ব্রণ-একটি্ দুই বর্ণের শব্দ যা সবার মনে ভীতি সৃষ্টি করে।নিশ্চয়ই আপনাদের মাঝে অনেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের পুর্বে ব্রণ সমস্যার সম্মুখীণ হয়েছেন। যদিও এক বিশাল শিল্প গড়ে উঠেছে ত্বক সক্রান্ত প্রসাধণীকে ঘিরে, তারপর ও আমেরিকা তে প্রায় ৪০০-৫০০ লাখ মানুষ ব্রণের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। বাংলাদেশে এ সংখ্যা এত বেশী নয়। তবে এশিয়া তে এটি দ্বিতীয় বৃহৎ সমস্যা যেটি নিয়ে মানুষ ডারমাটলজিস্ট এর কাছে যান।  কিভাবে ব্রণ দূর করবেন? প্রথমেই এটি নিয়ে যত ভুল ধারণা আছে তা দূর করতে হবে। ব্রণ একটি সৌন্দর্য সঙ্ক্রান্ত সমস্যা ।এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা। ব্রণ শুধু মানুষের সৌন্দর্যকেই ব্যহত করেনা মানুষের নিজের উপর আস্থা ও কমিয়ে দেয়। হাজারো নারী, পুরুষ , টিনেজার এবং প্রাপ্তবয়স্করা ব্রণ এবং ব্রণের কারণে সৃষ্ট দাগের কারণে বিষণ্ণ থাকেন। শুধুমাত্র ওষুধ এবং প্রসাধণী দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

একজন বিক্রেতা আপনাকে সঠিক উপদেশ দিতে পারবেন না। তাই একজন ভাল ডারমাটলজিস্টই পারবেন আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে। আশে পাশের মানুষদের থেকে জানুন যে কোন ডারমাটলজিস্ট ব্রণের চিকিৎসা করেন এবং তার থেকে সঠিক পরামর্শ নিন ব্রণ দূর করা সম্ভব দুর্ভাগ্যবশত, যাদের প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় ব্রণ হয় তা পুরাপুরি ভাল করা সম্ভব নয়। হরমন পরিবর্তন, খাবার, লাইফস্টাইল এবং ঘুমের ধরণ মানুষের সবাভাবিক ত্বকেও ব্রণের আবির্ভাব ঘটাতে পারে। অনেকদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সেটি কাজ না ও করতে পারে। ব্রণ মূলত ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে হয়। কিছু কিছু ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরে এক ওষুধ দিলে তা আর পরে কাজ করেনা। তবে আশা হারানোর কোন কারণ নেই। সবাস্থ্যসম্মত জীবণধারণ ব্রণ প্রতিরোধ এ সহায়ক যাদের সেনসেটিভ ত্বক তারা প্রসাধনী পরিবর্তন করে দেখতে পারেন কারন এক প্রসাধনী সব সময় ভাল কাজ না ও করতে পারে।

ব্রণ নিজে নিজেই ভাল হবে : আমরা এই কথা অনেকবার শুনেছি। ব্রণ স্পর্শ করবেন না, ব্রণ নিজে নিজেই চলে যাবে। অনেকের ক্ষেত্রে ব্রণ কখনই যায়না । এবং ছোট থেকে বড় হয়ে পুরো মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এবং যখন চলে যায় মুখে দাগ রেখে যায়। তাই আগে থেকেই ডারমাটোলজিস্টের কাছে যাওয়া ভালো।

মুখ ভাল করে না ধুলে ব্রণ হয় : এটি আরেকটি ভুল ধারণা। ব্রণের সাথে পরিচ্ছন্নতার সম্পর্ক নেই। অনেক সময় যাদের অনেক বেশি ব্রণ থাকে তারা অনেকবার মুখ ধোয় । এতে মুখের প্রাকৃতিক তেল বের হয়ে মুখের রন্ধ্র বন্ধ করে দেয় এবং ব্যাক্টেরিয়া এতে সংখ্যা বৃদ্ধি করে। দিনে দুইবার মুখ ধোয়া উচিৎ। এতে মুখ ময়লা থেকে দূরে থাকবে তবে বেশি বেশি ধোয়া ও ভাল নয়। যা সেনসেটিভ ত্বকে সমস্যার সৃষ্টি করে।

যৌন মিলন ব্রণ সৃষ্টির অন্যতম কারণ : সতেরশো দশকে একটি ভুল ধারনা ছিল যেটি অভিভাবকরা বলতেন যে বিয়ের পূর্বে যৌন মিলন এবং মৈথুন করলে ব্রণ হয়। টিনেজার রা ব্রণের শিকার হয় বয়ঃসন্ধিকালে। বিদেশে এমনকি বাংলাদেশে এই সময় কিশোর কিশোরী যৌন মিলন নিয়ে উৎসুক হয়ে উঠে। তবে যৌনমিলন এবং ব্রণের ্মাঝে কোন সম্পর্ক নেই। ছেলেদের হরমন টেস্টস্টেরন এবং ডাইহাইডড়োটেস্টোস্টেরন ব্রণ তৈরি করে তবে এগুলা যৌনমিলনের সাথে সম্পর্কিত না। মর্নিং পিল যেটি ইমারজেন্সি পিল হিসেবে পরিচিত ( আই পিল) বড় এবং যন্ত্রণাদায়ক ব্রণ তৈরি করে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রক পিল ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে।

চকলেট / চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য ব্রণ হয় : ফাস্টফুড এবং ব্রণের মাঝে যদিও কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি তারপর ও তৈলাক্ত হাত দিয়ে ত্বক স্পর্শ করলে ব্রণ হতে পারে। এটি জানা গেছে যে কম চিনিযুক্ত খাবার কম ইন্সুলিন তৈরি করে এবং ত্বকে বিরুপ প্রভাব ফেলে না। অতিরিক্ত চিনি অথবা লবণ ব্রণের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। চকলেটের সাথে ব্রণের কোন সম্পর্ক নেই।
সুষম খাবার এবং শরীর চর্চা ত্বকের টক্সিন বের করে দেয় এবং ত্বক ভাল রাখে।

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

Leave a Comment