গরমে রোজা রেখে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন তো?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- মে ২৯, ২০১৮
একে তো পবিত্র রমজান মাস। তার মধ্যে কাঠফাটা রোদের, মাঝে মাঝে বৃষ্টিরও বাগড়া। এসবের প্রভাব তো ত্বকের ওপর পড়তে বাধ্য। একটু সতর্কতাই আপনাকে রাখতে পারে লাবণ্যময়। জানুন সেই বাড়তি সতর্কতাগুলো কী?
স্কিন-কে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে এবং স্কিনের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে পানির বিকল্প নেই। ইফতার এবং সেহরির মাঝে অন্তত ৮ গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। শুধু পানি খেতে ভালো না লাগলে ফলের রস খেতে পারেন। এতে যেমন ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচা যাবে তেমনি দেহের ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজটিও হবে। তবে কখনো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত বা ফ্লেভারড ড্রিংক খেতে যাবেন না, কারণ চিনিজাতীয় খাবার কোলাজেন নষ্ট করে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ ফেলতে পারে। চা-কফি এবং সোডাজাতীয় পানীয় এসময় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন, কারণ ক্যাফেইনেটেড বেভারেজ ত্বকে পানিশূন্যতা তৈরি করে।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ করুন : যদিও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খাদ্যগ্রহণের জন্য প্রতিদিন খাবারের এক চতুর্থাংশ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এবং অর্ধাংশ শাকসবজি হওয়া উচিত, তবে পারতপক্ষে আমরা কেউই এই নিয়ম মানি না। তবে সারাবছর গাফিলতি করলেও রোজার সময় স্কিনের কথা ভেবে এই নিয়ম আপনাকে মানতেই হবে।
ভিটামিন সি: স্কিন-এর গ্লো এবং ব্রাইটনেস-এর জন্য এই ভিটামিন এর কোনই বিকল্প নেই। তাই ইফতারে রাখুন পেঁপে, কমলা বা লেবুর শরবত।
ভিটামিন ই: স্কিন-কে রিংকেল ফ্রি এবং দীর্ঘদিন তারুণ্যদীপ্ত রাখতে এই ভিটামিন আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে। খাদ্যতালিকায় রাখুন চিনাবাদাম, কাঠবাদাম বা ব্রকোলির মত পুষ্টিকর খাদ্য।
ভিটামিন এ: স্কিন-কে ড্রাইনেস ও ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচিয়ে স্মুদ ও সফট রাখতে এই ভিটামিন অনস্বীকার্য। সবুজ শাকসবজি এবং গাজরের সালাদের মাধ্যমে সহজেই এর অভাব পূরণ করে নিতে পারেন।
ভিটামিন বি: শাকসবজির কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত লাগছে তো? চিন্তা নেই। স্কিন-কে অকালবার্ধক্য থেকে বাঁচাতে আরেকটি অপরিহার্য ভিটামিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স-এর জন্য খাদ্যতালিকায় রাখুন মাছ-মুরগী এবং ডাল।
এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ করুন : ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এবং অকালবার্ধক্যজনিত ছাপ বা এক্সট্রিনসিক এইজিং থেকে বাচার জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই। অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবারের পরিবর্তে বাদাম, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, আনার এমনকি চকোলেট ভক্তরা ডার্ক চকোলেটের মাধ্যমেও এই উপাদানের অভাব পূরণ করতে পারেন।
নিয়মিত স্কিন এক্সফলিয়েট করুন : ডিহাইড্রেশনের কারণে ডেড স্কিন সেল রিমুভাল রেট অনেক স্লো হয়ে যায়। ফলে স্কিনের ধরনভেদে সপ্তাহে এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত স্ক্রাবিং এসময় খুবই জরুরী। স্ক্রাবার হিসেবে বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ফ্রুট স্ক্রাবার বা পানিমিশ্রিত ময়দা ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত স্কিন ময়েশ্চারাইজ করুন : স্কিনকে পানিশূন্যতা থেকে বাঁচাতে এবং স্কিনের ঔজ্জ্বল্য ও তারুণ্য ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজারের কোনই বিকল্প নেই। গরম এবং আর্দ্রতার কথা মাথায় রেখে একটি ওয়াটার বেইজড বা জেল ফর্মুলার ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। রোদে বেরোনোর জন্য সানব্লক সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
দিনে ২বার ফেইসওয়াশ ব্যবহার করুন : গ্রীষ্মের আর্দ্রতা অতিরিক্ত তেল বা সেবাম নিঃসরণের মাধ্যমে স্কিনপোরগুলো ব্লক করে ফেলে। আর রোজার সময় পানিশূন্যতার ফলে এ সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে। তাই দিনে ২ বার মাইল্ড ফেইসওয়াশের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করা খুবই জরুরী। তবে ২ বারের বেশি ফেইসওয়াশ ব্যবহার করতে যাবেন না কেননা এতে স্কিন আরও ড্রাই ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত তেলতেলেভাব কমানোর জন্য মুখ ধোয়ার পর টোনার ব্যবহার করলে আরো ভাল ফল পাওয়া সম্ভব।
তথ্য এবং ছবি : গুগল
