চোখ ভাল রাখবেন যেভাবে

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • নভেম্বর ২৯, ২০১৮

আকস্মিক কিছু না ঘটলে চোখের তেমন সমস্যা হয় না। চোখের সমস্যা হয় ধীরে ধীরে। তাই চোখের রোগকে নিরব ঘাতকও বলা হয়। চোখ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অবস্থানগত কারণেই চোখ সব সময় সুরক্ষিত থাকে। চোখের পানি সাধারণত ধূলা-বালি ও রোগজীবাণু ধুয়ে ও ধ্বংস করে চোখকে সুস্থ রাখে। তারপরও চোখকে ভাল রাখতে থাকতে হবে সতর্ক। চোখ ভালে রাখার কয়েকটি উপায় হলো-

আলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা: দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি চোখে না পড়াই ভাল। রাতে টিউব লাইটের আলো চোখের জন্য আরামদায়ক। টেবিল ল্যাম্পের আলোতে লেখাপড়ার সময় ল্যাম্পটি দেয়ালের দিকে রেখে প্রতিফলিত আলোতে পড়া ভাল।

নিয়ম মেনে টিভি দেখা: সম্পূর্ণ অন্ধকার কক্ষে টিভি দেখা ঠিক নয়। দিনের বেলা যে দরজা বা জানালার আলো টিভি স্ক্রিনে প্রতিফলিত হয়, সেগুলো বন্ধ রাখাই ভাল। সাধারণত ১০ ফুট দূর থেকে টিভি দেখা উচিত।রঙিন টিভিতে রং, উজ্জ্বলতা ও কন্ট্রাস্ট ঠিক রেখে টিভি দেখতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ টিভি না দেখে মাঝেমধ্যে দর্শন বিরতি দিয়ে টিভি দেখা চোখের জন্য ভাল।

প্রসাধনীর ব্যবহারে সতর্কতা: অতিরিক্ত প্রসাধনী চোখে ব্যবহার করলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, ব্লেফারাইটিস, স্টাই ইত্যাদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মাথায় খুশকি থাকলে সপ্তাহে দুবার খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা খুশকিমুক্ত না রাখলে মাথার খুশকি থেকে চোখ আক্রান্ত হয়ে চোখে ব্লেফারাইটিস দেখা দিতে পারে।

চশমা ব্যবহারে সচেতনতা: অনেকে মনে করেন, একবার চশমা ব্যবহার করলে সারা জীবন চশমা ব্যবহার করতে হবে। তাই চশমা ব্যবহার করেন না। অথচ চশমা ব্যবহার করলেই চোখ ভালো থাকে। নতুবা পড়াশোনা বা কাছের জিনিস দেখতে চোখের উপর চাপ পড়ে। এই চাপ চোখের স্থায়ী ক্ষতি করতে থাকে। চোখের সুস্থতায় চশমা সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত। অস্বচ্ছ ও ফাটা লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়।

চোখে কিছু পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া: ধুলোবালি, কীটপতঙ্গ, ছোট ইটপাথর বা কাঠের টুকরা থেকে শুরু  হঠাৎ চোখে পড়তে পারে। এসবের কারণে চোখে প্রথমে খচখচে ভাব হয়। এরপর চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ে।  তাকালে চোখ জ্বালা করে এবং চোখ বন্ধ করে রাখলে আরামবোধ হয়। ধীরে ধীরে চোখ লাল হয়ে যায়। দ্রুত বের করে নেওয়া না হলে সেই ময়লা চোখের কর্নিয়ায় ঘষা লেগে চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

টি/আ

Leave a Comment