ফাটা ত্বকের পরিচর্যা করবেন যেভাবে

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ডিসেম্বর ৬, ২০১৮

ত্বকের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে শীতে। বিশেষ করে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পরিচর্চা না নিলে ত্বক ফেটেও যেতে পারে। ত্বকের এ সমস্যা জেরোসিস নামেও পরিচিত। এটি এমন এক ত্বকের অবস্থা, যা ত্বকের বাইরের স্তরে আর্দ্রতার অভাব ঘটায়। সঠিক ব্যবস্থা না নিলে শুষ্ক ত্বকে ফাটল, সাদা দাগ ও সংক্রমণ দেখা যায়। শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সাধারণত গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে সারিয়ে নিন ত্বকের সেসব সমস্যা।

নারিকেল তেল: নারিকেল তেলের রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য গুণ। শুষ্ক ত্বকে যা পেট্রোলিয়াম জেলি হিসেবে নিরাপদ ও কার্যকর। এই তেল উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত করে এবং ত্বকে লিপিডের (চর্বি) সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

দুধ: শুষ্ক ত্বকের বিরক্তিকর দিক হল, চুলকানি। ত্বক এমন চুলকালে এবং ত্বকে সাদা দাগ দেখলে ঠাণ্ডা দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা দুধ একটি পরিষ্কার কাপড়ে ভিজিয়ে নিয়ে তা ত্বকে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ত্বকে প্রয়োগ করলে ভালো ফল মিলবে। কেননা দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করে।

দই: ত্বকে দই প্রয়োগ করলে মুখের ত্বকে ময়শ্চারাইজারের পরিমাণ ঠিক থাকে এবং ব্রেকআউটের বিরুদ্ধেও তা লড়াই করতে পারে। এ ছাড়া দই মুখের ত্বককে একটি মসৃণ টেক্সচার দেয়। ত্বকে সাদা দই মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে তা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ত্বকের শুষ্কতা হ্রাস পাবে। এ কাজটি সপ্তাহে কয়েকবার করলে শীতেও ত্বক থাকবে প্রাণবন্ত।

মধু: শুষ্ক ত্বকের জন্য আরেকটি ঘরোয়া প্রতিকার হল মধু। মধু খুবই ময়শ্চারাইজিং এবং শুষ্কতা কমিয়ে ত্বক নরম করতে সাহায্য করবে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনের প্রাচুর্যতা। এতে অ্যান্টিমাইকোবিয়াল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। ফেস মাস্ক হিসেবে কাঁচামধু প্রয়োগ করা অত্যন্ত উপকারী।

ওটমিলে গোসল: ওটমিল এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান, যা শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় উপকারী। বাজরে কৌটায় ওটমিল গুঁড়ো বা ওটমিলযুক্ত ক্রিম পাওয়া যায়। গোসলের পানিতে গুঁড়ো ওটমিল মিশিয়ে দিলে বা ওটমিলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকের উপশমে সাহায্য করতে পারে।

টি/আ

Leave a Comment