চুলের যত্নে আট সুপার ফুড

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • এপ্রিল ২, ২০১৯

চুল এবং ত্বকের জন্য এখন আমাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। কেননা, চুল পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত উপকরণ, দূষণ, রাসায়নিক দিয়ে উৎপাদিত ফল এবং সবজি খাওয়া, দূষিত পানি পান, অপর্যাপ্ত পানি পান, মানসিক ও শারীরিক চাপ, অনুপযুক্ত পুষ্টি, প্রয়োজনীয় ঘুম ও ব্যায়ামের অভাব এবং রাসায়নিকযুক্ত খাবার গ্রহণ- এমন নানা কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো চুল এবং ত্বকও আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এত কিছুর পরও ঘন ও স্বাস্থ্যকর চুল পাওয়া সম্ভব। এমন কিছু সুপার ফুড রয়েছে যা আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও সুস্বাস্থ্য এবং ভালো চুল পেতে সহায়তা করবে। নিচে এমন আটটি সুপার ফুড নিয়ে আলোচনা করা হলো-

কুমড়ো বীজ: কুমড়ো বীজ জিঙ্ক সমৃদ্ধ। এটি কোষ উৎপাদন এবং কোষ বিভাগ গড়ে উঠতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে যে কেরাটিন নামের প্রোটিন তা গঠনে সাহায্য করে। জিঙ্ক চুলের স্বাভাকিক রং সংরক্ষণ করে। কুমড়ো বীজ ছাড়াও মসূর ডাল, তিল বীজ, ভেড়ার মাংস, ছোলা এবং ঝিনুকে পাওয়া যায় উপাদানটি। এ ছাড়া জিঙ্ক চুলপড়া বন্ধ করে এবং খুশকিতে বাধা দেয়।

অ্যাভোকাডো: চুলের বৃদ্ধি ও চুল ঘন করতে ফলটি চমৎকার কাজ করে। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার তামা যা কলাজেন এবং ত্বকের ইলাস্টিন নামের উপাদান উৎপাদন করে। এ দুটি উপাদান চুলের গোড়া শক্ত করে। তামা আরো পাওয়া যায় শেল ফিশ, শস্য দানা, গাঢ় রঙের শাক-সবজি যেমন পালং শাক এবং মেথি, শিম এবং কলাইয়ের মতো উপকরণে।

ডিম: ডিম চুল বৃদ্ধি করে এবং ঘন ও শক্ত করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রোটিন ও বায়োটিনের মিশ্রণ যে দুটি উপাদান স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য পুষ্টি জোগায়।

চর্বিযুক্ত মাছ: ম্যাকেরেল, স্যামন এবং হেরিংয়ের মতো মাছ চুলের যত্নে সুপার ফুড হিসেবে কাজ করে। এসব মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। স্যামনে রয়েছে ভিটামিন ডি ও প্রোটিন যা চুলের গোড়া শক্ত করে এবং মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে।

বেরি ফল: বেরি ফলে রয়েছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটিও চুলে জন্য সুপার ফুড। উচ্চ মাত্রার  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর অবস্থা থেকে চুলের গোড়া রক্ষা করে। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং ক্র্যানবেরি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি কোলাজেন উৎপাদন করে এবং লোহার শোষণে সহায়তা করে যা চুল বৃদ্ধির দুটি কারণ।

মিষ্টি আলু: একটি মাঝারি আকারের মিষ্টি আলুতে রয়েছে পর্যাপ্ত বিটা-ক্যারোটিন যা আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের 'এ'-এর চারগুণ।

পালং শাক: এটি ভিটামিন 'এ' এবং 'সি', লোহা এবং ফোলেটের মতো উপাদান সমৃদ্ধ। লোহার একটি বড় উৎস হওয়ায় এটি শরীরে অক্সিজেন সরবরাহে রক্তের লোহিত ​​কণিকাকে সাহায্য করে। এতে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হয় ফলে চুল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। পালং পাতায় থাকা ভিটামিন 'এ' ত্বকের গ্রন্থিকে সেবাম নামের উপাদান উৎপাদনে সহায়তা করে যা চুলকে কোমল ও স্বাস্থ্যকর রাখে।

মাংস: মাংস প্রোটিনের একটি বড় উৎস যা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে লাল মাংস লোহা সমৃদ্ধ যা চুলকে লম্বা করে। ফলে সপ্তায় তিন-চার বার আপনার খাদ্য তালিকায় মাংস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

টি/আ

Leave a Comment