চুল লম্বা করার নিজস্ব উপায়সমুহ

  • রোজী আরেফিন
  • জুন ২৩, ২০১৯

যুগ যতই আধুনিক হোক,অনেক নারীই কিন্তু তাদের চুলের ব্যাপারে এখনো সেই প্রাচীন আর মান্দাতা আমলেই রয়ে গেছেন। এখনো চুল লম্বা করার চিন্তায় আর চেষ্টায় দিনের অনেকটা সময় বিভোর থাকে কত নারী। লম্বা চুলের জন্য এই যে অতশত চিন্তা আর চেষ্টা এসব যেন অহেতুক না হয় তার জন্য চলুন নিম্নলিখিত নিয়মে আজকে থেকে চুল লম্বা করার চেষ্টা করতে  থাকি।

মাথার তালুতে তেল ঘষুনঃ এটা চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ফলে চুলের লম্বা হওয়া তরান্বিত হয়।তাই কুসুম কুসুম  গরম তেল হাতের আঙুলে নিয়ে সপ্তাহে দু দিন অন্তত মেসেজ করুন আপনার মাথার তালুতে,পরিবর্তন টা প্রথম মাসেই টের পাবেন।

চুলের আগা ছাটুনঃ ছয় মাসে একবার অথবা যখন চুলের আগা ফেটে যাওয়া দেখবেন অবশ্যই সাথে সাথে চুল ট্রিম করে নিবেন। মনে রাখবেন চুলের আগা নিয়মিত ছাটলে চুল আরো দ্রুত লম্বা হয়।

নিয়মিত চুল পরিস্কার করুনঃ চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় এর কোন বিকল্প নেই।প্রতি দুদিন অন্তর অন্তর চুলে শ্যম্পু করে পরিস্কার করে নিবেন,নিয়মিত চুল পরিস্কার করলে চুল ফিরে পায় তার বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হেলদি এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।তবে অবশ্যই চুল শ্যম্পু করার পরে চুলে কন্ডিশনার(ন্যাচারাল যদি সম্ভব হয় ) লাগিয়ে নিবেন,এতে চুলের আদ্রতা লক হয়ে যাবে এবং চুল অনেক ঝলমলে হবে।

সঠিক সাপ্লিমেন্ট নিনঃ প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম খাবেন সকালে। দরকার হলে বিভিন্ন বায়োটিন এবং এন্টিওক্সিডেন্ট সাপ্লিমেন্ট খাবেন নিয়ম করে। মনে রাখবেন এই বায়োটিন এবং ভিটামিন বি চুলের হেল্দি গ্রোথ নিশ্চিত করে এবং চুলের গোড়াকে মজবুত করে।

অর্গানিক তেল ব্যবহার করুন বাজারের প্রচলিত তেল বাদ দিয়েঃ বাজারে ইদানীং বিভিন্ন অর্গানিক তেল পাওয়া যায় যেগুলোতে আমলা,নিম,তুলসী,শিকাকাই,মেথি,মধ্যান্তিকা,ভূঙ্গরাজ এবং রোজমেরির বিভিন্ন নির্যাস থাকে। এসব তেলে আর্টিফিশিয়াল ফ্লেবার এবং প্রিজার্বেটিভ একদম ইউজ হয়না।ফলে চুলের কোন বাড়তি ক্ষতি তো হয়ই না বরংচ এসব তেলে চুলের কিউটিকল সিল করে চুলপড়া কমায় এবং চুল লম্বা করে। 

ঠান্ডা পানিতে চুল ভেজানঃ চুল লম্বা করার ক্ষেত্রে এটা একটা মহাঔষধ বলা যেতে পারে।অনেকে গরম পানিতে চুল ভেজান,আজকে থেকে এই অভ্যাস বাদ দিয়ে দিন যদি আপনার চুল সত্যিই লম্বা করতে চান। 

চুলের উপর অত্যাচার করা বন্ধ করুনঃ চুলে কালার করা চুল রিবন্ডিং করা অথবা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানো এসব অভ্যাস বাদ দিন। চুলের জন্য দুদিন পরপর পার্লারে যাওয়া ও বন্ধ করবেন। একান্তই দরকার হলে চুলে প্রোটেক্টিভ কোন সল্যুশন মেখে এরপর চুলে আর্টিফিশিয়াল টাচ গুলো দিবেন।

পরিশেষে, চুল লম্বা করার জন্য প্রথমেই কিন্তু আপনাকে প্রচণ্ড ধৈর্য্য সহকারে লম্বা সময় ধরে চেষ্টা করে যেতে হবে। চুলের বৃদ্ধিটা এমন না,আপনি সকালে চাইলেন বিকেলে হয়ে গেলো। ধৈর্য্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন ইন শা আল্লাহ,নিরাশ হবেন না।

ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন।

ধন্যবাদ।
 

Leave a Comment