খুশকি থেকে স্থায়ী ভাবে মুক্তির ১১টি কার্যকরী উপায়!

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • জুন ১০, ২০২০

বিরক্তিকর সাদা খুশকি থেকে মুক্তি পেতে ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু এড়িয়ে যেতে পারেন এবং উল্লেখিত ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

১. অ্যাসপিরিনঃ অনেক মেডিক্যাটেড ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে থাকা সক্রিয় উপাদান, স্যালিসিলিক অ্যাসিড অ্যাসপিরিনেও থাকে। খুশকি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুইটি অ্যাসপিরিনকে চূর্ন করে সূক্ষ্ম পাউডারে পরিণত করুন এবং আপনি চুল ধোয়ার সময় যে স্বাভাবিক পরিমাণ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তার সঙ্গে অ্যাসপিরিন মিশিয়ে নিন। আপনার চুলে এ মিশ্রণ ১-২মিনিট রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন এবং তারপর সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করে আবার মাথা ধুয়ে ফেলুন।

২. ট্রি ট্রি অয়েলঃ এক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, শ্যাম্পুর সঙ্গে ৫ শতাংশ ট্রি ট্রি অয়েলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে খুশকির তীব্রতা কমায়। আপনি সাধারণত যে পরিমাণ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তার সঙ্গে কয়েকফোঁটা ট্রি ট্রি অয়েল যোগ করতে পারেন।

৩. বেকিং সোডাঃ খুশকি প্রতিকারে বেকিং সোডা খুব কার্যকর। আপনার চুলকে ভেজান এবং তারপর একমুঠো বেকিং সোডা আপনার স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বকে ঘষুন। শ্যাম্পু পরিহার করে মাথ ধুয়ে ফেলুন।

৪. অ্যাপল সিডার ভিনেগারঃ একটি স্প্রে বোতলে এক চতুর্থাংশ কাপ অ্যাপন সিডার ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশান এবং এ মিশ্রণ আপনার স্ক্যাল্পে স্প্রে করুন। একটি টাওয়েল দিয়ে আপনাফ মাথা মুড়িয়ে নিন এবং ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুইবার অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন।

৫. মাউথওয়াশঃ খুশকি থেকে প্রতিকার পেতে আপনার নিয়মিত ব্যবহার করা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং তারপর অ্যালকোহল ভিত্তিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর রেগুলার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। মাউথওয়াশের অ্যান্টি ফাঙ্গাল প্রপার্টি খুশকি সৃষ্টিকারী ইস্টের বিকাশ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৬. কোকোনাট অয়েলঃ গোসলের পূর্বে ৩/৫চা চামচ নারকেল তেল আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন এবং প্রায় একঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। আপনি নারকেল তেল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন।

৭. লেবুর রসঃ খুশকি থেকে মুক্তির জন্য আপনি লেবু ব্যবহার করতে পারেন। ২চা চামচ লেবুর রস আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ১ চা চামচ লেবুর রস ১ কাপ পানিতে মিশান এবং এ মিশ্রণ দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন। খুশকি শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন একইভাবে করুন।

৮. লবণঃ খুশকি দূর করতে চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের পূর্বে সাধারণ লবণ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কারণ লবণের খুশকি দূর করার ক্ষমতা আছে। সল্টশ্যাকার থেকে কিছু লবণ আপনার স্ক্যাল্পে ফেলুন এবং স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন, এবার শ্যাম্পু করুন।

৯. অ্যালোভেরাঃ শ্যাম্পু ব্যবহারের পূর্বে স্ক্যাল্পে অ্যালোভেরা ম্যাসাজ করুন। কিন্তু ম্যাসাজের পূর্বে স্ক্যাল্পে চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার শীতলকারী প্রভাব চুলকানি উপশম করবে।

১০. রসুনঃ রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি খুশকি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করার জন্য পারফেক্ট। রসুন পিষে স্ক্যাল্পে ঘষুন। পরে শ্যাম্পু করে নিন।

১১. অলিভ অয়েলঃ প্রায় ১০ ফোঁটা অলিভ অয়েল আপনার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন এবং একটি শাওয়ার কাপ দিয়ে সারারাত ঢেকে রাখুন। সকালে আপনার রেগুলার শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। আরো দ্রুত ফলাফলের জন্য অলিভ অয়েল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Comment