মেহেদি পাতায় চুলের সমস্যার সমাধান, সর্তকতাসহ

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ১৪, ২০২১

চুলের যত্নে মেহেদি পাতার ব্যবহার দীর্ঘদিনের পুরনো। প্রাকৃতিকভাবে সাদা চুল রং করার ক্ষেত্রে মেহেদি পাতার তুলনা নেই। কালো চুলের জন্য কতটা উপকারী মেহেদি পাতা তা কি জানা আছে? এবার তাহলে জেনে নিন কীভাবে চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে মেহেদি পাতা...

বিশেষ কিছু উপকারিতা: চুল ঘন হয়, চুলের গোড়া শক্ত করে, রুক্ষতা দূর করে, চুল রেশমি ও ঝরঝরে করে, মাথা ঠান্ডা রাখে, চুলের আগা ফাটা রোধ করে, খুশকি দূর করে, চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং সাদা চুল রং করে মেহেদি পাতার পেস্ট।

আরো পড়ুনঃ সুস্বাদু ময়দার হালুয়া রেসিপি

খুশকি দূর করে মেহেদি পাতা: মেহেদি পাতা পরিমাণমতো বিষয়ে নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহারে মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করবে। খুশকি দূর করার জন্য মেহেদি পাতার সঙ্গে ৩-৪ টি আমলকি পিষে মাথার ত্বকে লাগিয়ে আধ ঘন্টা রেখে দিলে খুশকি দূর হবে এবং চুল মজবুত হবে।

রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরায়: মেহেদি পাতার সঙ্গে ১টি ডিমের সাদা অংশ ও টকদই ২-৩ চামচ মিশিয়ে ব্যবহারে চুলের পুষ্টি সংযোজন হবে ও চুলের রুক্ষতা দূর করে চুল উজ্জ্বল ও রেশমি হবে।

চুল পড়া রোধে মেহেদি পাতা: সপ্তাহে ১ বার মেহেদি পাতা পিষে অথবা ব্লেন্ড করে সঙ্গে ১-২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। এটি চুলে লাগিয়ে ৩০-৫০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু ব্যবহার না করে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

একদিন পর শ্যাম্পু করলে চুল পড়া কমবে ও সতেজ হবে এবং মাথা ঠান্ডা রাখবে। এছাড়াও নারকেল তেল বা সরিষার তেল অথবা অন্য কোনো তেলের সঙ্গে আধা চামচ মেথি মিশিয়ে গরম করে এরপর ঠাণ্ডা করে মেহেদি পাতার সঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে ১-২ বার মাথায়ও চামড়ায় লাগালে চুল রেশমি হয় ও চুল পড়া কমে।

আরো পড়ুনঃ ডাবের পানি কখন খাওয়া ঠিক নয়?

কিছু পরামর্শ:

- মেহেদী দেয়ার আগের দিন চুলে তেল দেয়া ভালো।

- চুলে বাজারের কোন কেমিক্যালের রং ব্যবহার করে থাকলে তবে কম করে হলেও ২-৩ মাস পর মেহেদি পাতা ব্যবহার করা উচিত, না হলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।

- মেহেদি পাতা লাগিয়ে বেশি সময় রাখা ভালো, কম করে হলেও ৪০-৫০ মিনিট রাখলে খুবই ভালো কাজ করবে। এর চেয়ে বেশি সময় রাখলে চুল বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাবে।

- মেহেদি পাতা চুলে লাগানোর সময় কান, ঘাড় ও গলায় কাপড় দিয়ে ঢেকে নিলে রং লাগবে না। হাতের গ্লাভস লাগিয়ে নেয়া যায় যাতে হাতেও রং না লাগে। এছাড়াও গ্লিসারিন লাগিয়ে নেয়া যায় এতে রং কম হবে এমন কি উঠে যাবে সহজে।

- একেকজনের চুলের ত্বক একেক রকমের হয়, এলার্জি থাকলে বা মাথার চামড়ায় কোন খাবার ইনফেকশন থাকলে ব্যবহার না করাই ভালো।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিজে রাখার পরেও কাঁচামরিচ দ্রুত নষ্ট হচ্ছে?

- চুলে নিয়মিত তেল দেয়া ভালো, তবে সব সময় মালিশ করে তেল দিলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির সাথে চুল ঘন হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment