তবুও মানছে না বোনের মন!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯

‘এইতো কত্তো মানুষ। সবাই তো আছে। সবাইকে দেখছি, আমার ভাইদেরকে দেখছি না কেন? ভাই তোমরা কোথায় গেলা। একবারের জন্য ফিরে আসো। আমাকে দেখে যাও। ও ভাই।’

এভাবেই কান্না করতে করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে বসে বিলাপ করছিলেন জরিনা বেগম (৩৫)। চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের তিনজন সদস্যকে হারিয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে দুই ভাই মোহাম্মদ আলী (৩২) ও অপু (৩০) এবং তিন বছর বয়সী ভাতিজা আরাফাত রয়েছে। কিন্তু তাদের মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তিনি বারবার শুধু বলছিলেন, ‘আমার ভাইয়েরা ফিরবে,ফিরবে।’

জরিনা বেগমকে সান্ত্বনা দিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করছিলেন তার আরেক ভাই পিন্টু। কিন্তু কিছুতেই তাকে থামানো যাচ্ছে না। তার কান্নায় যেন মর্গের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। কখনো চিৎকার করে,কখনো হাউমাউ করে কাঁদছেন তিনি। কান্না করতে করতে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেছেন কয়েক বার।

পিন্টু বলেন,‘মোহাম্মদ আলী চকবাজার এলাকার একটি কসমেটিক দোকানে চাকরি করতেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার একটু আগে তিন বছর বয়সী শিশু আরাফাতকে ডাক্তার দেখিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ভাই রায়হানও ছিল।এসময় রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটও ছিলো। তখনই আগুনের ঘটনাটি ঘটে। সেখানেই তারা মারা যান। এখন তাদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে আনা হয়েছে।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার চুড়ি হাট্টাশাহী মসজিদের সামনে একটি পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আশেপাশের ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার মতো কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই ঘটনায় দগ্ধসহ আহত কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

টি/আ

Leave a Comment