বন্যা ছাড়িয়েছে মাত্রা, ২০-২২ বছরে এমন বন্যা হয়নি

  • কামরুন নাহার স্মৃতি
  • জুলাই ১৬, ২০১৯

১৯৯৭ সালের বন্যাতে যাদের বাড়িতে পানি ঢুকেছিল। তারা বেশিরভাগই আশ্রয় নিয়েছিলেন মহাসড়কের উঁচু স্থানে, সেই সড়ক ডুবে গেছে এবারের বন্যায়। প্রায় একসপ্তাহ ধরে দুর্ভোগে আছে মানুষ, সংকট খাবার পানি ও খাদ্যের। বলছিলাম চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কথা।

টানা ১০ দিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি চট্টগ্রামের আরো বেশকিছু উপজেলার মানুষ। চট্টগ্রামের প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাদের।

সাঙ্গু এলাকার পানি বিপদসীমার দের মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়দের অনেকে শহর ও আশেপাশের উঁচু এলাকায় আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে খাবার ও পানীয় জলের অভাব। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় পার হচ্ছে মানুষ। ধান, মাছের খামার, পশু, ফসলের ক্ষেত, বসতবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশুর খাদ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, বৃষ্টি কমলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ১০ দিনের টানা বর্ষণে পানিপ্রবাহ বেড়েছে কর্ণফুলী নদীতে। পাহাড়ি এলাকাতে দুর্ভোগে আছেন বাসিন্দারা।

কেএস/

Leave a Comment