করমচা চাষ পদ্ধতি

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১

বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় সমতল ভূমিতে করমচা চাষ করা হয়। সার ও পানি সেচ দেওয়া খুব কম লাগে। সারা বছরের মধ্যে ৩ মাস পরিচর্যা করা লাগে। একটা ৬ বছরের গাছ থেকে গড়ে ২০ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। বছরে একবার বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে ফল বাজারজাত করা হয়। ১ কেজি ফলের দাম ২৬ টাকা। করমচা প্রসেসিং করে বাজারে চেরি ফল হিসেবে বিক্রি হয়।

আরো পড়ুনঃ আলু দিয়ে মলা মাছ  রান্না

মাটি: বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় সমতল ভূমিতে করমচা চাষ করা হয়। করমচা চাষের জমি উচু হলে ভালো হয় তবে নিচু জমিতে চাষ করা যায় যদি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকে।

ফুল ও ফল: করমচা গাছ বেশ ঝোপতলা ধরনের শক্ত জাতের কাঁটাওয়ালা গুল্ম। বড় সাদা অভিকে গোলাপি রঙের সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত করমচা ফুল দেখতে কিছুটা কুন্ধ ফুলের মত। এই ফলের রং কাঁচায় গাঢ় সবুজ পাকায় লাল হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফল ধরে এপ্রিল ও মে মাসে। বর্ষায় ফল পাকে।

রোপন পদ্ধতি: করমচা চাষের জমি উঁচু হলেই ভালো, তবে নিচু জমিতে চাষ করা চলে যদি পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকে। বর্ষাকালে চারা রোপণ করা ভালো। গাছ লাগানোর ১৫-২০ দিন আগ থেকে গর্ত তৈরি করতে হবে। বাগানে চাষ করতে হলে গর্ত তৈরির আগে ৩০ সেন্টি মিটার গভীর করে জমি চাষ দিয়ে নিতে হবে। গর্তের মাঝখানে চারা বসিয়ে সেচ দিতে হবে। চারার গোড়ায় মাটি শক্ত ভাবে চেপে দিতে হবে যাতে গাছ পড়ে না যায়।

আরো পড়ুনঃ আপনার কানের ছোট্ট দুলের খবরাখবর

করমচা গাছের যত্ন: এতে বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। করমচা গাছের পরিচর্যার ক্ষেত্রফল শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঘন ডালপালা ছেঁটে কিছু হালকা করে দেওয়া দরকার। গোড়ার মাটি একটু উঁচু করে দিতে হবে। যাতে বৃষ্টির পানি না দাঁড়ায়। করমচা খুব শক্ত ধরনের গাছ এবং দেহে আঠালো রস থাকায় রোগ ও পোকায় সহজে আক্রমণ করতে পারে না। তবে ফলের ছোট অবস্থায় পোকা ভেতরে ঢুকে শাঁস খেয়ে ফেলে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment