ছাদে খুব সহজেই ভিয়েতনামি জাতের নারিকেল চাষ পদ্ধতি

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

খাটো জাতের ভিয়েতনামের ডাবে পানির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে। সাধারণত সব ধরনের মাটিতে খাটো জাতের নারিকেল গাছ লাগানো যায়। তাছাড়া এ জাতের গাছ লবণাক্ততা অনেক বেশি সহ্য করতে পারে।

গাছ খাটো হওয়ায় পরিচর্যাও সহজ। ইতিমধ্যে বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খাটো জাতের নারিকেল গাছ লাগানো শুরু হয়েছে। এছাড়া বান্দরবান রাঙ্গামাটি জেলার পাহাড়ি এলাকায় ও এ জাতের গাছ লাগানো হয়েছে।

জাত: ভিয়েতনাম থেকে আগত খাটো জাতগুলোই মূলত বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে চাষ করা হয়ে থাকে। জাত দুটি হলো-

আরো পড়ুনঃ আপনার ওজন কমছে, কিন্ত পেট বা কোমরের পরিধির পরিমাপ ঠিক আছে তো ?

সিয়াম ব্লু কোকোনাট: এটি অতি জনপ্রিয় জাত। এটা উদ্ভাবন করা হয় ২০০৫ সালে ভিয়েতনামে। এছাড়া কৃষকের খুবই পছন্দ। ফলের রং হলুদ, প্রতিটির ওজন ১-১.৫ কেজি, ডাবের পানির পরিমাণ ২০০-৩৫০ মিলি। ডাবের পানি খুব মিষ্টি এবং শেলফ লাইফ বেশি হওয়ায় এ জাতের ডাব বিদেশে রপ্তানি করা যায়। বছরে প্রতি গাছে ফল ধরে ১৩০-২১০ টি।

সিয়াম গ্রীন কোকোনাট: এটির ডাব হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয়। এ জাতের ডাবের রং কিছুটা সবুজ, আকার কিছুটা ছোট, প্রতিটি ওজন ১.০-১.৩ কেজি। এ জাতের ডাবে ২৫০-৩০০ মিলিলিটার পানি পাওয়া যায়। বছরে প্রতি গাছে ফল ধরে ১৫০-২০০ টি।

মাটি: বেলে, দোআঁশ মাটি সব ধরনের মাটি এই নারিকেল চাষের জন্য উপযোগী। সাধারণত প্রায় ১.৪ মিটার চওড়া ও ১.৫ মিটার গভীরতা রেখে গর্ত করে তাতে জৈব সার দিয়ে ভরাট করে গাছ লাগালে গাছের বৃদ্ধি ভালো হবে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েলি রোগ লিউকোরিয়ার (সাদাস্রাব ) কারণ ও প্রতিকার

চারা রোপণ: গর্তের মাঝখানে নারকেল চারা এমন ভাবে রোপণ করতে হবে যাতে নারকেলের খোসা সংলগ্ন চারার গোড়ার অংশ মাটির ওপরে থাকে। চারা রোপণের সময় মাটির নিচের দিকে ভালোভাবে চাপ দিতে হবে যাতে চারাটি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।

সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা: চারা রোপণের পর প্রতি ৩ মাস পরপর সার প্রয়োগ করতে হবে। চারার গোড়া থেকে ৩০ সেমি দূরত্বে ৩০-৪০ সেমি চওড়া ও ২০ সেমি গভীর নালায় সারগুলো প্রয়োগ করতে হবে। পরের প্রতিবার চারার গোড়া থেকে আগের বারের থেকে ৫-৭ সেমি আরো দূরে সার প্রয়োগ করতে হবে।

সার প্রয়োগের পর ১৫-২০ লিটার পানি দিয়ে গাছের গোড়া ভেজাতে হবে। শুকনো মওসুমের সময় কচুরিপানা দিয়ে মালচিং করে নিয়মিত সেচ দিতে হবে।

রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা:

কুঁড়ি পচা: রোগের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ৪-৫ গ্রাম প্রপিনেব ও ম্যানকোজেব গ্রুপের কীটনাশক সিকিউর মিশিয়ে কুঁড়ির গোড়ায় ২১ দিন পরপর ২-৩ পাওয়ার স্প্রে করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS -এর কারণে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ

ফল পচা রোগ: প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে ম্যানকোজেব গ্রুপের রোগনাশক মিশিয়ে আক্রান্ত হলে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment