মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয় এই অভ্যাসগুলো

  • কবিতা আক্তার
  • ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২

ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।

মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই একে আধকপালি ব্যথা ও বলা হয়ে থাকে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তীব্র মাথা যন্ত্রণার পাশাপাশি তাদের বমি বমি ভাব, শরীরে এবং মুখের অসস্তিকর ভাব দেখা দিতে পারে। এই ব্যাথাটা না বেশ কয়েকদিন থাকে। তাই যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের এই ব্যথার জন্য দায়ী কিছু কাজ বা অভ্যাস এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ যেভাবে কাজে লাগাতে পারেন ডিমের খোসা

১. পেট খালি রাখা: পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে খালি পেটে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় যা মাইগ্রেনের সমস্যা কে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।

২. আবহাওয়া: অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরি এর কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতা তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যাথা শুরু হয়ে থাকে।

৩. মানসিক চাপ: যারা অনেক বেশি চাপ নিয়ে একটানা কাজ করে চলেন এবং নিজের ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া কোন নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে পারেন না তাদের বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ লেবুর চা খেয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক কিছুটা রিল্যাক্স হবে।

৪. অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া: আমরা যখন অনেক বেশি মিষ্টি খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত ইনসুলিন এর উৎপাদন হতে থাকে। যার ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা নেমে যায়। এভাবে হঠাৎ হঠাৎ রক্তের সুগারের মাত্রা তারতম্য হওয়ার কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ যেভাবে নরম রাখবেন হাতের ত্বক

৫. অতিরিক্ত আওয়াজ: অতিরিক্ত আওয়াজ, খুব জোরে গান শোনা ইত্যাদির কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। প্রচন্ড জোরে আওয়াজ এর কারণে প্রায় দু দিন টানা মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৬. অতিরিক্ত ঘুমানো: মাত্র একদিনের ঘুমের অনিয়মের কারণে শরীরের উপরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যেমন যারা নিয়মিত মোটামুটি ৫-৬ ঘন্টা করে ঘুমোন, তারা যদি হুট করে একদিন একটু বেশি ঘুমিয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যায়।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment