গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙা নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য

  • রেজবুল ইসলাম 
  • এপ্রিল ১১, ২০১৮

পানি ভাঙা শব্দটা শুনলেই অনেকে হয়তো ভয় পেয়ে যাবেন। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই। সব কিছুই জেনে রাখা প্রয়োজন। আর সবার সাথে এটা ঘটেনা সুতরাং চিন্তিত হবার কিছু নেই। 

পানি ভাঙা আসলে কী? 

শিশুরা যখন মায়ের পেটে থাকে তখন এক ধরণের তরল পদার্থে ভেসে থাকে। একে বলা হয় এমনিওটিক ফ্লুইড আর যের থলের মধ্যে থাকে তাকে বলা হয় এমনিওটিক স্যাক। এমনিওটিক স্যাক বা থলে ফেটে গেলে শরীর থেকে  পানির মত তরলটা সারভিক্স এর মাদ্ধমে যোনি পথে বের হয়ে যেতে থাকে।পানি ভাঙ্গাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় “রাপচার্ড মেমব্রেন”। 

পানি ভাঙার অনুভূতি কেমন হয়? 

- আপনার পানি ভাঙ্গা সম্ভবত তরল একটি বন্যার হিসাবে আসবে না, বরং একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন অ্যামিনীয় তরল একটি ধীর গতির (বা একটি ছোট gush) এটি কখনও কখনও একটি মিষ্টি গন্ধ আছে।

- সাদা স্রাব নাকি পানি ভাঙা বুঝবেন কী করে? 

- অ্যামনিয়োটিক তরল  ফ্যাকাশে, খড়-রঙযুক্ত তরল। অন্যদিকে, যোনিপথে স্রাব পাতলা, দুধ-সাদা শ্লেগার। 

পানি কখন ভাঙতে পারে? 

নরমাল যেই বিষয়টা সেইটা হচ্ছে লেবার পেইন বা প্রসব বেদনা শুরু হয় পানি ভাঙার আগেই। বেশিরভাগ মায়ের ক্ষেত্রে তাই ঘটে। এই পানি মায়ের জন্য উপকারী। এর কারণেই লেবার পেইন কম হয়। সেক্ষেত্রে পানি ভাঙ্গার ভাল সময় হচ্ছে প্রসবের প্রথম স্তরের শেষের দিকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার আগেই পানি ভেঙে যায়। মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় প্রি-লেবার রাপচার অব মেমব্রেন বা PROM । 

লেবার পেইন শুরু হওয়ার আগে পানি ভেঙে গেলে কী করবেন? 

যদি পানি ভাঙ্গার ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যেও লেবার পেইন শুরু না হয় তবে আর অপেক্ষা না করে কৃত্রিম যে কোন উপায় অবলম্বন করতে হবে। সেক্ষেত্রে সব চেয়ে ভালো উপায় ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা।
 

Leave a Comment