মেনোপজ বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। লক্ষণ ও করণীয়

  • রেজবুল ইসলাম 
  • এপ্রিল ১২, ২০১৮

প্রত্যেকটা মহিলার একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাসিক হয়। এক সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। সবার একই বয়সে না ঘটলেও বেশিরভাগ মহিলদের ক্ষেত্রে ৪০-৫৫ বছরের মধ্যেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। মেনোপজ এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন আসতে পারে। ওজন বৃদ্ধি , ভেজাইনাল ড্রাইনেস তার মধ্যে অন্যতম। এতে করে ভেজাইনাল টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মেনোপজ এর ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মহিলাদের মনে রাখতে হবে। 

মেনোপজ কোন বয়সে শুরু হতে পারে?

মেনোপজ শুরু হওয়ার গড় বয়স ৫১ বছর। বেশিরভাগ মহিলার ৪০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যেই মেনোপজ শুরু হয়। যদি কোন মেয়েলি সমস্যা থাকে তবে অন্যদের মতো স্বাভাবিক না থেকে মাসিক চলতেই থাকে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ। মেনোপজ এর বয়স সাধারণত জেনেটিক্যলি নির্ধারিত হয় কিন্তু ধূমপানসহ অনেক কারণে অনেক কম বয়সে মেনোপজ হয়ে থাকে। 

পেরিমেনোপজ আর মেনোপজ এর মধ্যে পার্থক্য কী? 

পেরিমেনোপজটি মেনোপজ এর আগের সময়ের কথা উল্লেখ করে। মেনোপোজের ঠিক আগের পর্যায়ে শরীরে ইস্ট্রোজেন বা প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে বা একদমই নিঃসৃত না হলে তাকে পেরিমেনোপজ বলা হয়। পোস্টমেনোপজ: শেষ মাসিক হবার ১২ মাস পর পোস্ট মেনোপজ হতে দেখা যায়। এ সময় ডিম্বাশয় থেকে খুব কম ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন উৎপাদিত হয়।

মেনোপজের লক্ষণ ও উপসর্গ : মাসিক শেষ হবার এক বছর হওয়ার দীর্ঘ সময় পর সাধারণত মেনোপজের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন :

- অনিয়মিত মাসিক

- অনুর্বরতা (Decreased fertility)

- যোনিপথ শুষ্ক থাকা

- অতিরিক্ত গরম লাগা (Hot flash)

- অনিদ্রা বা ঘুমে ব্যাঘাত

- মেজাজ উঠা-নামা করা (Mood swings)

- মেদ বৃদ্ধি পাওয়া

- চুল পাতলা হয়ে যাওয়া

- স্তন ছোট হয়ে যাওয়া

করণীয় : নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং অতিরিক্ত গরম যাতে না লাগে এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকা বিশ্রাম বা আরাম করা। এক্ষেত্রে দীর্ঘশ্বাস নেয়া, মাংসপেশি শিথিল করা বেশ ফলদায়ক তলপেট ও শ্রোণীদ্বার এর মাংসপেশির ব্যায়াম করা শাকসবজি, ফলমূল সমৃদ্ধ সুসম খাদ্য গ্রহণ ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।


 

Leave a Comment