মাম্পস কী? মাম্পস হলে করণীয় কী?

  • রেজবুল ইসলাম 
  • এপ্রিল ১৮, ২০১৮

মাম্প্‌স বা পনসিকা (ইংরেজি: Mumps প্যারটাইটিস নামেও পরিচিত ), একপ্রকারের ভাইরাসজনিত রোগ, যা মাম্প‌স ভাইরাস দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে। প্রতিষেধক আবিষ্কারের আগে, পৃথিবীব্যাপী শিশুদের মধ্যে এটি একটি সাধারণ রোগ ছিল। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এখনও এই রোগ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে থাকে, এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায়ই রোগটি দেখা যায়। মাম্প্‌স-এর সাধারণ লক্ষণসমূহ হলো: ৬০%-৭০% সংক্রমণের ক্ষেত্রে কানের নিকটবর্তি প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যায় (প্যারোটিটাইটিস) এবং লক্ষণ ধরা পড়ে। প্যারোটিটাইটিসের কারণে আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং স্থানটিতে ব্যথা অনুভূত হয়, বিশেষ করে কিছু চিবানোর সময়। এটা একপাশে (একপেশে) হতে পারে, কিন্তু সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রায় ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে দুপাশই ফুলে থাকে (দোপেশে) জ্বর মাথাব্যথা অর্কাইটিস (en:Orchitis), যা মূলত অণ্ডকোষ ফুলে ব্যথা হওয়া বোঝায়

বড়দের মাম্পস হয়? 

সাধারণত ছোটদের মাম্পসে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। তাই বলে বড়দের যে মাম্পস হয় না তা কিন্তু নয়। মাম্পস হলো লালাগ্রন্থির একধরনের ভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট প্রদাহ। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এর ফলে জ্বর, মাথাব্যথার সঙ্গে গলা ও কানের নিচে দুই পাশে লালাগ্রন্থি ফুলে যায়, খাবার গিলতে ব্যথা হতে পারে। কিশোর-তরুণদের মাম্পস হলে ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে সঙ্গে শুক্রাশয়ের প্রদাহ থাকতে পারে। সঠিক চিকিৎসা না হলে এ থেকে পরে জটিলতা হতে পারে। আবার নারীদের মাম্পস হলে একই সঙ্গে স্তনগ্রন্থিতে ব্যথা ও প্রদাহ হতে পারে। সাধারণত মাম্পস নিজে নিজেই সেরে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: এনকেফালাইটিস, শ্রবণশক্তিতে সমস্যা, অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ। গর্ভবতী নারীর মাম্পস হলে এ থেকে গর্ভপাত হওয়ারও আশঙ্কা আছে।

মাম্পস হলে করণীয় কি?

মাম্পস হলে প্রচুর পানি খেতে হবে। মিষ্টি পানীয় বা জুস ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। কারণ এগুলো লালাগ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে ব্যথা বাড়াবে। তরল বা আধা তরল নরম খাবার খেলে ব্যথা কম হবে। ব্যথা কমানোর জন্য বরফ বা ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে ফোলা জায়গার ওপর। প্যারাসিটামল খাওয়া যায়। বিশ্রাম নিন। হালকা গরম লবণপানি দিয়ে গরগরা করুন। পুরুষদের মাম্পসের সঙ্গে শুক্রাশয়ে ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

 

Leave a Comment