গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি কমাতে খেতে হবে এই খাবারগুলো!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • মে ১০, ২০১৮

গর্ভাবস্থায় ছোট-বড় নানা সমস্য়া লেগেই থাকে। আর তার অন্য়তম হল ক্র্য়াম্প লাগা। আসলে এই সময়ে শরীরের অন্দরে এবং বাইরে নানা পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। যে কারণে এইসব অসুবিধাগুলি দেখা দেয়। যেমনটা আমার সকলেই জানি যে হবু মাকে তার ইউটেরাসে প্রায় ৯ মাস বাচ্চাকে বহন করতে হয়। আর যত সময় এগুতে থাকে, ততই ফিটাসের সাইজও বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত ওজনের ফিটাসকে বহন করার জন্য় হবু মায়েদের কোমর, পেট এবং থাইয়ে মেদ জমতে শুরু করে, তাই তো মায়েরা এই সময় একটু মোটা হয়ে যান। শুধু তাই নয়, হরমোনাল ইনবেলেন্সের কারণে এই সময়ে মায়েদের মেজাজও একটু তিরিক্ষি হয়ে যায়। 

যেমনটা আগেও বলেছি, গর্ভাবস্থায় আরেকটি অসুবিধায় মায়েরা একেবারে কহিল হয়ে পরেন। তা হল ক্র্য়াম্প বা খিঁচুনি লাগার সমস্য়া। আসলে এই সময়ে মায়েদের ইউটেরিনের পেশি সংকোচিত হওয়ার কারণেই এমনটা হয়। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে খিঁচুনি লাগার অসুবিধা অনেকটা কমে। সেই বিষয়েই আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে। 

অ্যাভোকাডো: এই ফলটি ওমেগা ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ, যা ইউটেরাসের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ইউটেরাসের আবরণকে পিচ্ছিল করে দেয়। ফলে ক্র্য়াম্প লাগা কমে যায়। 

ডার্ক চকোলেট: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে শরীরে প্রদাহ কমাতে এটি সাহায্য় করে। ফলে গর্ভাবস্তায় যদি এই বিশেষ ধরনের চকোলেটটি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে এই ধরনের অসুবিধা অনেকটাই কমে। 

কলা: এই ফলটি পটাশিয়ামের সব থেকে উত্তম সোর্স হওয়ার কারণে প্রেগন্য়ান্সির সময় কলা খাওয়া মাস্ট। কারণ কী জানেন? পটাশিয়াম ইউটেরিনের প্রদাহ কমায়, ফলে খিঁচুনি লাগার আশঙ্কাও কমে যায়। প্রসঙ্গত, কনস্টিপেশনের মতো সমস্য়া দূর করতেও কলা দারুন উপকারি। 

গ্রিন টি: ক্র্য়াম্প লাগা কমাতে ভাবী মায়েদের গ্রিন টি খাওয়ার অভ্য়াস করতে হবে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা খিঁচুনি কমায়। 

পালং শাক: আয়রণ ইউটেরাসের দেওয়ালকে মোজবুত করার মধ্য়ে দিয়ে ক্র্য়াম্প কমায়। আর একথা তো সকলেরই জানা যে পালং শাক হল আয়রণের সবথেকে ভালো উৎস। 

দুধ: এটি ক্য়ালসিয়াম সমৃদ্ধ। তাই প্রগন্য়ান্সির সময় নিয়মিত দুধ খেল বাচ্চার হাড় শক্ত হয়। সেই সঙ্গে খিঁচুনি লাগার আশঙ্কাও কমে। 

ডিম: যে যে হরমোনের কারণে ইউটেরিনের সংকোচন বেড়ে যায়, সেইসব হরেমানের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রোটিন দারুন কাজে আসে। আর ডিম হল এমন খাদ্য় যা প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এটি নিয়মিত খেলে ক্র্য়াম্প লাগার অসুবিধা অনেক কমে যায়।

সূত্র : boldsky

Leave a Comment