বাচ্চার ডায়পার কেনার সময় ভালো মানেরটা নিচ্ছেন তো?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • মে ১৯, ২০১৮

সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল ভালো মানের ডায়াপার পছন্দ করা। সস্তা এবং নিম্ন মানের ডায়াপার আপনার বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ডায়াপার বেছে নেবার সময় তার শোষণক্ষমতা, আরামদায়ক কিনা, এবং লিকপ্রুফ কিনা তা দেখে নেবেন।

ডায়াপার পরানোর সময় করনীয়ঃ ডায়াপার বেশি আঁটসাঁট করে পরানো যাবে না, তাহলে শিশু খুব অস্বস্তিতে থাকবে। ৬ ঘণ্টার মধ্যেই পরিবর্তন করে দিতে হবে (যদি পায়খানা করে তাহলে সাথে সাথেই পরিবর্তন করতে হবে)। বাচ্চার মল যত দ্রুত সম্ভবপরিষ্কার করতে হবে। ডায়াপার পরিবর্তন করার সময় যদি কোন র‍্যাশ দেখা যায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে এন্টিসেপ্টিক বা ডায়াপার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে এবং কিছু সময় ডায়াপার না পড়িয়ে রাখতে হবে।
 
শিশুকে পরিচ্ছন্ন করার উপায়ঃ ডায়াপার বদলানোর সময় শিশুকে খুব যত্ন করে পরিষ্কার করতে হবে। এর জন্য ভেজা কাপড়, তুলার তৈরীর বল অথবা বেবি ওয়াইপস ব্যবহার করা যেতে পারে যা দিয়ে শিশুর নিম্নদেশ পরিষ্কার করা যায়। শিশুকে সবসময় সামনে থেকে পেছনদিকে মোছাতে হয় (কখনই পেছন থেকে সামনের দিকে মোছাবেন না বিশেষ করে কন্যা শিশুর ক্ষেত্রে অন্যথায় ব্যকটেরিয়া সংক্রমন হতে পারে যা ইউরিনারি ইনফেকশন ঘটাতে পারে )।  আপনার শিশুর পায়ের গোড়ালি ধরে উপরে দিকটি ভালো করে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তার হাঁটু এবং নিতম্বের ভাঁজ গুলোও পরিষ্কার করতে হবে। শিশুকে মোছানো শেষ হলে তার শরীর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শুকিয়ে নিন এবং তারপর ডায়াপার অয়েন্টমেন্ট অথবা ময়েশ্চারাইজিং বেবি লোশন ব্যবহার করুন।

বাড়তি কিছু টিপসঃ

১। ময়লা ডায়পার শুধু দুর্গন্ধযুক্তই নয় বরঞ্চ অনেক ধরণের জীবাণুরও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই ময়লা ডায়পার নিয়মিত ফেলে দিতে হবে অন্তত দিনে একবার।

২। শক্ত ডায়াপার পরালে অনেক সময় শিশুর পায়ের ও কোমরের আশেপাশে দাগ হয়ে যেতে পারে তাই ঢিলেঢালা ডায়পার পরালে শিশুরা আরাম পেতে পারে।

৩। শিশুর ডায়াপার পরানোর জায়গায় পায়ে ও কোমরে যদি ফুসকুড়ি দেখতে পান তাহলে কিছুদিন ডায়াপার ব্যবহার করা বন্ধ রাখুন। 

৪। শিশুর নাভির নাড়ীটি যদি এখনও পড়ে না গিয়ে থাকে তাহলে সেই স্থানটি শুকনো রাখতে ডায়াপারের কোমরের কাছের অংশটি ভাজঁ করে রাখুন। নাড়ী পড়ে যাবার কিছুদিন পর পর্যন্ত এমনটি চালিয়ে যান।

৫। জীবাণু যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য শিশুর ডায়পার বদলাবার পর ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

ডায়াপার র‍্যাশ হলে শিশুকে কি ডাক্তারের কাছে নেয়া জরুরী?

সাধারনভাবে বলতে গেলে, না, জরুরী নয়। নিয়মিত শিশুর ডায়াপার পরিষ্কার করা হলে ৩/৪ দিনের মাঝেই র‍্যাশ দূর হয়ে যায়। তবে যদি এরকম হয় র‍্যাশের স্থানে সংক্রমণ, ক্ষত,পুঁজ দেখা যায় এবং দেহে জ্বর থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

ডায়াপার র‍্যাশ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

১) উচ্চ শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং আরামদায়ক ডায়াপার ব্যবহার করুন যা ওভারফ্লো বা লিকেজ হতে দেবেনা এবং বাচ্চার র‍্যাশ হবার প্রবণতা কমাবে।

২) প্রতিবার ডায়পার পরিবর্তন করে নতুন ডায়াপার পরানোর আগে শরীরের সে অংশটি বেবি ওয়াইপস দিয়ে মুছে নিন।

৩) ওয়াইপস ব্যবহার শেষে পেট্রোলিয়ামজেলি,পেট্রোলিয়াম অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করুন। এগুলো শিশুকে মল-মূত্র ত্বকে লেগে থাকা জনিত অস্বস্তিকর ওবস্থা থেকে সুরক্ষিত রাখে।

৪) সঠিক সাইজের ডায়াপার ব্যবহার করুন যাতে বাচ্চার শরীরে অনেক টাইট হয়ে লেগে না থাকে।

৫) র‍্যাশ থাকা অবস্থায় শিশুকে ডায়াপার ছাড়াই ঘুমাতে দিন। এক্ষেত্রে রেক্সিনের কাভার ব্যবহার করুন, যেটা বিছানাতে শিশুর মল-মূত্রপরার সমস্যাটা দূর করবে।

৬) যে খাবারগুলো খেলে আপনার শিশুর ত্বকে এলার্জি হয় সেগুলো ওকে খাওয়াবেন না। কারণ ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়লে ডায়াপার র‍্যাশ হবার প্রবণতা বেড়ে যায়।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment