পিরিয়ড স্বাভাবিক হচ্ছে কীভাবে বুঝবেন?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • জুন ৮, ২০১৮

পিরিয়ড দেখে শরীরের অবস্থা আন্দাজ করা সম্ভব। পিরিয়ড নারী শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে পিরিয়ড স্বাভাবিক হচ্ছে বুঝবেন কীভাবে? কখনো কখনো এর কিছু জটিলতা দেখা যায়। তবে কিছু বিষয় দেখলে বোঝা যায় পিরিয়ড স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে।

জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। নারী শরীরে প্রথম পিরিয়ডটি সাধারণত শুরু হয় ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সে।

অনেক মেয়েরই আবার এর আগেই অর্থাৎ আট থেকে নয় বছরের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে আবার প্রথম পিরিয়ডটিই অনেক দেরি করে শুরু হতে পারে; ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সে গিয়ে ঠেকতে পারে এটি। পুরো জীবনে প্রায় পাঁচশ বারের ওপরে পিরিয়ড হয়ে থাকে।

প্রত্যেক নারীই আলাদা। পিরিয়ডের বিষয়টিও একজন থেকে অন্য জনের ক্ষেত্রে আলাদা। তাই চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই যদি পিরিয়ড তিন থেকে সাতদিন থাকে।

অনেকেই ভাবেন পিরিয়ড প্রতি মাসেই ঠিক নির্দিষ্ট তারিখেই হবে। তারা অনেক সময় চিন্তায় পড়ে যান যদি পিরিয়ড নির্দিষ্ট তারিখে না হয় বা হতে কয়েকদিন দেরি হয়। এতে আসলে চিন্তার তেমন কোনো কারণ নেই। ২১ দিন থেকে ২৫ দিনের মধ্যে এই চক্র শুরু হয়। তবে ২১ দিনের আগে হলে অথবা ৩৫ দিনের পরে হলে বিষয়টি চিন্তার।

পিরিয়ডের সময় রক্তের চাকা বের হওয়া খুব স্বাভাবিক। রক্তপাত কখনো বেশি বা কম হতে পারে। একেক জনের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেক রকম হয়। তাই এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। পিরিয়ডের আগে ও পরে সাদাস্রাবের নিঃসরণও বেশ স্বাভাবিক বিষয়।

পিরিয়ডের সময় ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। এ সময় কিছুটা দুর্বল ও অস্বস্তি বোধ হতে পারে। তবে যদি তীব্র ব্যথা হয়, বমি বা বমি বমি ভাব হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এটা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। এটা অনেক সময় সিস্টের লক্ষণ হতে পারে। তাই এ রকম সমস্যা হলে সচেতন হোন।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment