শিশুর জন্মগত হৃদরোগ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুন ২০, ২০১৮

অনেক সময় শিশুদের জন্ম থেকেই হৃদরোগ এ আক্রান্ত থাকে। আমাদের দেশে জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা এক হাজারে আটজন। এই রোগ বেশ গুরুতর। শিশুদের মধ্যে এই রোগ বৃদ্ধির হার বেশ উদ্বেগজনক। শিশুর জন্মগত হৃদরোগ বলতে হৃৎপিন্ড ও সংশ্লিষ্ট রক্তনালি সমূহের গঠন, কার্যপ্রণালি প্রভৃতির অস্বাভাবিকতাকে বোঝায়। শ্রেণিভেদে জন্মগত হৃদরোগ নানাভাগে বিভক্ত। 

ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মগত হৃদরোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। সাইনোটিক বা নীল শিশু এবং এসাইনোটিক বা সাধারণ কৃষ্ণ (কালার্ড) শিশু। সাইনোটিকে দেখতে হয় সান্ট আছে কি না (হৃৎপিণ্ডের একটি ধমনি পালমোনারি এবং অন্যটি এয়োটা। এদের মধ্যে যদি যোগাযোগ থাকে তাহলে তাকে সান্ট এনোমেলি বলে)।

সান্ট এনোমেলিতে এট্রিয়াল সেপটাল সমস্যা থাকতে পারে।  দুটি এট্রিয়াম অর্থাৎ বাম এবং ডান এট্রিয়ামের মধ্যে ছিদ্র থাকতে পারে। ভেন্টিকুলাস সেপটাল সমস্যা থাকতে পারে। বাম এবং ডানের ভেন্টিক্যালের মধ্যে ছিদ্র থাকতে পারে। অথবা দুটো আটারির মধ্যে একটি যোগসূত্র থাকতে পারে।

আর সাইনোটিক গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে জটিল সমস্যা হচ্ছে টেট্রালজি অব ফেলো।

শিশুটির খাওয়ায় সমস্যা হয়, দুধ চুষতে পারে না। শিশুটির বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং নীল হয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইসিজি, বুকের এক্স-রে করে দেখতে হয় কোন জাতীয় হৃদরোগ হয়েছে।

ছোটবেলায় সাধারণত এট্রিয়াল সেপটাল সমস্যা ধরা পড়ে না। এটা বড় হয়ে ধরা পড়ে। বাকিগুলো যেমন : ভেন্টিকুলাস সেপটাল ডিফেক্ট, পেটেন্ট ডাকটাস আটারিওসাস, টফ এবং টিজিও জন্মের পর ধরা পড়ে। এ ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং কার বেলায় কী চিকিৎসা নিতে হবে তা চিকিৎসকরা নির্ণয় করেন।

আর/এস 

Leave a Comment