ব্রেস্টফিডিং-এর দিনগুলিতে বর্জন করা উচিৎ যে অভ্যাসগুলো

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুন ২৭, ২০১৮

একটা সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় অবদান অবশ্যই তার মায়ের। শুধু জন্ম দিলেই শেষ নয় দায়িত্ব। সন্তান গর্ভে থাকাকালীন হোক কী সদ্যোজাত অবস্থায়, বাচ্চার খাদ্যের যোগান পুরো মাত্রায় নির্ভর করে থাকে মায়ের ওপরই। এই দুই সময়ে মা যা খায়, সেটিই সন্তানের শরীরে পুষ্টিগুণ বাড়াতে সাহায্য করে। যদিও বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় যে সন্তান জন্মগ্রহণের পরেও মা তাঁর খাদ্য এবং জীবনযাত্রা নিয়ে খুব একটা ওয়াকিবহাল থাকেন না। এদিকে সন্তান সে সময় পূর্ণমাত্রায় নির্ভরশীল থাকে মাতৃদুগ্ধের ওপর। মায়ের জীবনযাত্রা গোলমেলে হওয়ায়, সন্তানের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হতে শুরু করে। আর ঠিক এই কারণেই তো বোল্ডস্কাই আপনাদের আজ জানাতে চলেছে সন্তানকে স্তন্যদান বা ব্রেস্টফিড করানোর সময় কোন কোন অভ্যাস ত্যাগ করার প্রয়োজন রয়েছে।

ধূমপান
সবার প্রথমেই আসে ধূমপানের কথা। বর্তমানে বহু মহিলাই ধূমপান করে থাকেন। তবে মুশকিল হচ্ছে এই ধূমপান আমাদের নিজেদের শরীর তো বটেই, গর্ভে থাকা সন্তানেরও ক্ষতি করে। এমনকি কোনও মহিলা গর্ভধারণ করলে তাঁর স্বামীরও উচিত ধূমপান বর্জন করা। কারণ অনেক ক্ষেত্রে গর্ভের ভিতরে থাকাকালীন অবস্থায় সন্তানের মৃত্যু অবধি হতে পারে পিতার ধূমপান করার অভ্যাস থেকে। তাই অন্তত বাড়িতে থাকাকালীন গর্ভবতী স্ত্রীর উপস্থিতিতে ধূমপান না করাই ভালো।

ওষুধ
স্তন্যদান করার দিনগুলিতে খুব সাবধানেই ওষুধ খাওয়া উচিত। ভুলেও এই সময়ে বেশী মাত্রার ব্যাথা নিরোধক বা অন্য যে কোনও ধরণের ওষুধ না খাওয়াই ভালো। একান্তই যদি খেতে হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।

গায়ে এবং মুখে মাখার ক্রিম 
সদ্যজাত অবস্থা থেকে পরের কয়েক মাস সন্তান মায়ের খুব কাছেই থাকে। মূলত দুধ পান করার সময় সন্তান মায়ের শরীরের সবথেকে কাছে থাকে। তাই মায়ের শরীরে ব্যবহার করা ক্রিম শিশুর শরীরে ঢোকার প্রবণতা থেকে যায়। তাই চেষ্টা করুন এইসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্রিম ব্যবহার করতে।

অ্যালার্জি হতে পারে এমন খাবার: 
আমাদের অনেকেরই কিছু না কিছু খাবারে অ্যালার্জি থাকে। তাই সেই জাতীয় খাবার এই সময়ে বন্ধ রাখা উচিত। কারণ তা শিশুর শরীরেই সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও কফি এবং বাদাম জাতীয় খাবারগুলি অনেক সময় পেটের অসুখ তৈরি করে। তাই এমন খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ মায়ের পেটের অসুখ হলে সন্তানেরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

আর/এস 

Leave a Comment