অনিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে? জেনে নিন এর লক্ষণ, কারণ ও সমাধান
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- জুলাই ১, ২০১৮
পিরিয়ড নারীদের জন্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। যদিও পিরিয়ড চলাকালে নারীরা অনেকেই বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন। কিন্তু তারপরও নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াটা একজন নারীর সুস্থ থাকার জন্য খুবই জরুরি। তাই অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা নিয়ে নারীরা এক প্রকার আতঙ্কে থাকেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ ও লক্ষণগুলো -
অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ :
- দেহের হরমোনজনিত গোলযোগ বা হরমোনের অভাব থাকলে।
- এন্টিবায়োটিক খেলেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।
- ডিম্বকোষ হতে ডিম্বানু ঠিক মতো নিঃসরণ না হলে।
- জরায়ু বা ডিম্বকোষের রোগ থাকলে।
- দেহের স্বাভাবিক পুষ্টির অভাব হলে।
- দেহের এবং যৌনাঙ্গের পূর্ণ বিকাশের অভাব হলে।
- রক্তশূন্যতা থাকলে।
- গনোরিয়া, সিফিলিস জাতীয় রোগে আক্রান্ত হলে।
অনিয়মিত পিরিয়ডের লক্ষণ :
- পিরিয়ড অনিয়মিত হলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
- পিরিয়ড হঠাৎ ২-৩ মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। কখনো বা ৪-৫ মাস পর্যন্ত বন্ধ থেকে হঠাৎ অধিক পরিমাণে স্রাব অথবা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত অল্প অল্প স্রাব নিঃসরণ হতে পারে।
- পিরিয়ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, আবার দুই তিন মাস হয় না, কখনো বা ১৫-২০ দিন বন্ধ থাকে। কখনো পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর ৮-১০ দিন বা ১০-১৫ দিন পর্যন্ত কম বেশি চলতে থাকে।
- পিরিয়ড ১৫-২০ দিন বন্ধ থেকে ফোটা ফোটা ঋতু হতে থাকে। কখনো ঠিকমতো চলে আবার কখনো বা হঠাৎ গোলমাল দেখা দেয়।
- তলপেটে ভয়নক ব্যথা হতে পারে। কখনো কালচে বর্ণের রক্তস্রাব হতে থাকে। কখনোবা স্রাবের রক্তে ছোট ছোট কালো টুকরা দেখা যায়।
অনিয়মিত পিরিয়ডের আরও কতগুলি লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। তার মধ্যে তলপেটে খিল ধরার মতো ব্যথা, প্রসব বেদনার মতো ব্যথা, বারবার মলত্যাগের প্রবৃত্তি, কোষ্ঠকাঠিন্যের ভাব ইত্যাদি।
- পিরিয়ড আরম্ভ হলে প্রচণ্ড বমি এবং বমি বমি ভাব, আবার কখনো পিরিয়ড আরম্ভ হলে সব যন্ত্রণার অবসান হয়।
- সামান্য বিরতিতে চাপ চাপ রক্তস্রাব হয়, রোগী মনে করে উদরের মধ্যে সজীব কোনো পদার্থ নাড়াচাড়া করছে।
- কখনো কেবল রাতে পিরিয়ড হয়, কখনোবা শুধু দিনে। পিরিয়ডের সময় স্তনে ব্যাথা অনুভব হয়। পিরিয়ড আরম্ভ হবার পূর্বে গলায় ও স্তনে ব্যথা অনুভব হয়।
- কখনো শুধু শুয়ে থাকলে পিরিয়ড হয়, বসলে বা হাঁটাচলা করলে বন্ধ হয়।
সমাধান : উপরিউক্ত সমস্যা যদি প্রকট হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। অবশ্য কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে অনিয়মিত পিরিয়ড সমস্যার সমাধান হতে পারে। সেগুলো হলো-
- বেশি বেশি পেঁপে ও আনারস খেলে এই সমস্যা দূর হতে পারে।
- ১/২ চা-চামচ দারুচিনি, ১ চা-চামচ লেবু, সামান্য মধু ও দুধ মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করলে এ সমস্যা দূর হতে পারে।
সূত্র : গুগল