শিশুদের কী ধরণের জন্মগত ত্রুটি থাকতে পারে

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ৩, ২০১৮

অনেক শিশু জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। শিশুদের বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি হয়। যেমন : ঠোঁট কাটা, তালু কাটা, হাতের আঙুল বেশি থাকা, আঙুল একসঙ্গে লেগে থাকা ইত্যাদি।

জন্মের পর পর দেখা যাচ্ছে, ছোট ছেলে বা মেয়ের হয়তো দুটো আঙুল অথবা চারটা আঙুল অথবা পাঁচটা আঙুলই লাগানো থাকছে। এক হাতে হতে পারে, দুই হাতে হতে পারে। চার হাত-পায়ে হতে পারে। একটি বাড়তি আঙুল থাকতে পারে। এক হাতে, দুই হাতে অথবা চার হাত-পায়ে। শুধু একটি নয়। দেখা যাচ্ছে, দুই পাশেই থাকতে পারে। অনেকের দেখা যায়, এক পাশে সাত থেকে আটটা আঙুল, আরেক হাতে সাত থেকে আটটা আঙুল। এগুলোকে বলা হয় মিরর হ্যান্ড। হাত-পা দুই জায়গাতেই থাকতে পারে।

এরপর দেখা যায়, জন্মের পর চোখে একটা কালো লাল দাগ থাকতে পারে। সাধারণত মুখে খুব বেশি হয়। যেহেতু ছোট বাচ্চা, সবার দৃষ্টি থাকে মুখে। দেখা যায়, মুখে লাল একটি দাগ। অথবা অনেকে ভাবে পিঁপড়া অথবা মশার কামড়। কিন্তু দেখা যায় যে তিন/ চার দিন বা পাঁচ দিন পর থেকে হঠাৎ করে এটি বড় হওয়া শুরু করে। হওয়ার পর দেখা যায় বড় একটি লাল দাগ। আস্তে আস্তে এটি কালো দাগ হয়ে যায়। একে বলা হয় হেমানজিওমা।

শরীরে কোথাও একটি  ছোট কালো দাগ, তিলের মতো। পরে দেখা যায় আস্তে আস্তে এটি বড় হচ্ছে। একে দেখা যায় কনজেনিটাল নিভাস। শরীরের একটি অংশ দেখা যায় খুব কালো হয়ে গেছে। এরপর লিম্ফেনজিওমার মতো কিছু জিনিস থাকতে পারে। জন্মগতভাবে দেখা যাচ্ছে, একটি হাতের আঙুল বা দুইটা হাতের আঙুল একটু বড় মনে হচ্ছে। চার/ পাঁচ দিন পর থেকে হঠাৎ করে এটি বড় হওয়া শুরু করে। একে লিম্ফেনজিওমা বলে। আবার আরেকটি হতে পারে। একে বলে নিউরোফাইব্রোমা। ঠিক হাতের এই আঙুলগুলো বড় হতে পারে। একটি পুরো হাত বড় হতে পারে অথবা দেখা যায় মুখের একটি অংশ ঝুলে আছে। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন দেখা যায় এক পাশ ঝুলে পড়ে আছে। একে বলা হয় নিউরোফাইব্রোমা।

আর/এস 

 

Leave a Comment