তেলযুক্ত মাছের উপকারিতা জেনে নিন

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ১১, ২০১৮

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন তেলযুক্ত মাছ খাবার পরামর্শ দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, নিয়মিত তেলযুক্ত মাছ খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা এক-তৃতীয়াংশ কমে আসে। মাছ ও মাছের তেলের উপকারিতা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। মাছের তেলে যে চর্বি আছে, তা হলো অসম্পৃক্ত চর্বি। সাধারণভাবে বলা হয়, এটি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ডিএইচএ। এটি রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, রক্ত সরবরাহ নির্বিঘ্ন করে এবং রক্তের ক্ষতিকর চর্বিকে রক্তনালিতে জমতে বাধা দেয়। ফলে হৃদ্রোগ প্রতিরোধে এটি খুবই কার্যকর।

এ ছাড়া মাছ নিয়ে আরও চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কৃত হচ্ছে। দেখা যাক, কেন মাছ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
১. মাছ থেকে যে ক্যালরি পাওয়া যায়, তা ক্ষতিকর চর্বিমুক্ত। মাছের ক্যালরি নির্ভর করে চর্বির মাত্রার ওপর। ডিম পাড়ার সময় হলে মাছের দেহে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন ক্যালরির মাত্রাও বাড়ে। পুষ্টিচাহিদা মেটাতে মাছ তাই খুবই কার্যকর।

২. মাছে পর্যাপ্ত আমিষ আছে। মাংস থেকে আমিষ পেতে হলে এর সঙ্গে ক্ষতিকর চর্বি বা সম্পৃক্ত চর্বিও গ্রহণ করতে হয়। মাছের ক্ষেত্রে এ সমস্যা নেই, বিশেষ করে শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য আমিষের চাহিদা পূরণে প্রতিদিন মাছ বেশ ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।

৩. হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকেরা বলছেন, মাছের তেলে এ ছাড়াও রয়েছে প্রস্টাগ্লানডিন নামের রাসায়নিক উপাদান, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

৪. বুদ্ধির বিকাশ, স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিএইচএ চমৎকার ভূমিকা রাখতে পারে। যে মায়েরা মাছ খান নিয়মিত, তাঁদের বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুরা ডিএইচএ পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে পারে। ছয় থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরা পর্যাপ্ত ওমেগা ৩ এবং ডিএইচএ গ্রহণ করলে পরবর্তী জীবনে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও মেধার পরিচয় দেয়। এটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

৫. আমিষ ও ওমেগা ৩ চর্বি ছাড়াও মাছে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান, যেমন: সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ইত্যাদি, যা বিপাক ক্রিয়া, দাঁত, পেশি ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। ছোট কাঁটাযুক্ত মাছ ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

৬. মাছে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান, যা ক্যানসার, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ যেমন: বাত, আর্থ্রাইটিস রোধে সাহায্য করে, ত্বক ভালো রাখে। l প্রধান পুষ্টিবিদ, বারডেম হাসপাতাল|

মস্তিষ্ক
বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখে|

হৃদ্যন্ত্র
তেলযুক্ত মাছ খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা এক-তৃতীয়াংশ কমে আসে। 

ক্যানসার
ক্যানসার, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ যেমন: বাত, আর্থ্রাইটিস রোধে সাহায্য করে, ত্বক ভালো রাখে|

পেশি ও হাড়
বিপাক ক্রিয়া, দাঁত, পেশি ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। ছোট কাঁটাযুক্ত মাছ ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস|

তথ্য ও ছবিঃ গুগল

আর/এস 

Leave a Comment