কতদিন পর্যন্ত বুকের দুধ পান করা মা ও শিশুর জন্য উপকারী?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • জুলাই ১৩, ২০১৮

গর্ভাবস্থা থেকেই সন্তানের জন্মের পরে প্রথম ছ’মাস বুকের দুধ পানের গুরুত্ব মায়েদের বোঝানো হয়। কিন্তু শিশুর ঠিক বিকাশ এবং মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য সন্তানের শক্ত খাবারের অভ্যাস তৈরি করা এবং দু’বছর বয়সের পরে বুকেরদুধ পানের পরিবর্তে সাধারণ খাবারে অভ্যস্ত করে তোলাও জরুরি। সেটা কিন্তু অধিকাংশ মা'ই জানেন না।

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বুকের দুধ পানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মায়েদের বলা হয়। কিন্তু সেটার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। একটা সময়ের পরে বুকের দুধপানেও হতে পারে বিপদ।

অনেকে বাচ্চায় বছর পাঁচেক পর্যন্ত বুকের দুধপানে অভ্যস্ত থাকে। সেটা ঠিক নয়। শিশুর জন্মের পরে অনেক সময় মায়েদের হরমোনঘটিত সমস্যা হতে থাকে। আবার অনেকে গর্ভনিরোধক ওষুধও ব্যবহার করেন। যেগুলো তার হরমোনঘটিত পরিবর্তন ঘটায়। সেই ওষুধ ব্যবহারের সময়ে সন্তানকে স্তন্যপান করালে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিশুর দেহে দেখা দিতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘মা কোনও ধরনের ওষুধ খেলে কিংবা সংক্রমণে আক্রান্ত হলে স্তন্যপানের মাধ্যমে শিশুর দেহে তা যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই দু’বছরের পরে বুকের দুধ পান করানো ঠিক নয়।’’

মাতৃদুগ্ধ পর্যাপ্ত থাকলেও শিশুদের দু’বছরের পরে স্তন্যপানে বিশেষ পুষ্টি মেলে না। বরং ঋতুস্রাব, স্তনে সংক্রমণ-সহ মায়ের একাধিক সমস্যা দেখা যায়, সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক নানা সমস্যাও তৈরি হয়—জানাচ্ছেন স্ত্রীরোগ চিকিৎসক সুমনা ঘোষাল।

বছর দুয়েকের পরেও শিশু ভাত, ডালের মতো শক্ত খাবারের পরিবর্তে স্তন্যদুগ্ধেই অভ্যস্ত হলে রক্তসল্পতার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘শিশুর বিকাশে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব রয়েছে। তার পরে বিভিন্ন খাবারের থেকেই পুষ্টি সংগ্রহ করা শিখতে হবে।’’ অনেকেই মনে করেন, মাতৃদুগ্ধ পর্যাপ্ত খেলেই পেট ভরে যাবে। কিন্তু বছর দুয়েক পরে ঠিক মতো সব রকমের খাবার না খেলে নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী দাঁতে সংক্রমণও হয় বলে জানান শিশুরোগ চিকিৎসক খেয়া ঘোষউত্তম।

সূত্র : গুগল

Leave a Comment