গর্ভাবস্থায় হাই ব্লাড সুগার কি ধরণের জটিলতা তৈরী করে?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ১৬, ২০১৮

গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে নানা রকমের জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। হতে পারে মানসিক কিংবা শারীরিক। শারীরিক জটিলতাগুলোর মধ্যে রয়েছে গর্ভকালীন ডায়বেটিস, হাই সুগার লেভেল। গর্ভাবস্থায় সুগার লেভেল সঠিক মাত্রায় রাখতে মা’কে কিছু নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেই সাথে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ব্লাড সুগার লেভেল ডেলিভারির পরেই আবার স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসে। মাঝের এই গর্ভকালীন সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভকালীন হাই ব্লাড সুগার স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার কিছু টিপস জেনে নিন :

১। নিজের মিল প্ল্যান তৈরি করুন সুষমভাবে। একজন অবেস্ট্রেসিয়ান অথবা ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট প্ল্যান তৈরি করুন। অবশ্য অন্যসময়ের ডায়বেটিস এবং গর্ভকালীন ডায়বেটিসের মিল প্ল্যান একই রকম। তবুও মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে ডাক্তারের কিছু বাড়তি নির্দেশ থাকতেই পারে।

২। চিনি জাতীয় খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকুন। ক্যান্ডি, কোক, খাবার সোডা, কেক এসব খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

৩। প্রধান খাবারগুলো দিনের তিন অথববা চার ভাগে ভাগ করে নিন। অল্প অল্প করে কিছুক্ষন পরপর খান।

৪। খাবারে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় হাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। শষ্যদানা, বিভিন্ন ফল, সবজিতে ফাইবার বেশি থাকে।

৫। বেশি বেশি করে পানি পান করুন। সঠিক হাউড্রেশনের জন্য এটি খুব দরকারী। এছাড়া পানি ব্লাড সুগার লেভেল সঠিক মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে।

৬। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দৈনিন্দন হালকা কাজ করুন। প্রতিদিন কিছুটা হাঁটুন। গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করলে তা সন্তান জন্মদানের পর ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৭। প্রতিদিন বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ব্লাড সুগার মাপান।

৮। যদি স্বাভাবিক জীবনযাপনের পরেও সুগার লেভেল না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন গ্রহণ করুন।

সূত্র : গুগল

Leave a Comment