ইনহেলার ব্যবহার করুন সঠিক নিয়মে

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ২২, ২০১৮

যাদের হাঁপানি আছে বা শ্বাসকষ্ট তাদের সামান্য ধুলোতে, অল্প পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। অনেকের নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। বাজারে অনেক রকমের ইনহেলার পাওয়া যায়। ব্যবহার বিধিও আলাদা আলাদা। সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে ইনহেলারের ওষুধ ঠিকমতো ফুসফুসে পৌঁছায় না এবং কাজও হয় না। 

ডাক্তাররা বেশি যেটা পরামর্শ দিয়ে থাকেন মিটার ডোজ ইনহেলার। চাপ দিলে ওষুধ  নির্গত হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন কয় চাপ নেবেন তার নির্দেশনা নিতে হবে। মুখ থেকে দেড় থেকে দুই ইঞ্চি দূরে রাখুন। এবার মাথাটা একটু পেছনে হেলে দিয়ে যতটা সম্ভব বুকের বাতাস আগে প্রশ্বাসের মাধ্যমে বের করে দিন।বাতাস বের করে দেওয়ার পর হা করে মুখের ভেতর ইনহেলার চেপে ওষুধটি টেনে নিন। ওষুধ খেয়ে ফেলবেন না, বরং শ্বাসের সঙ্গে বুকের ভেতর টেনে নিন তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ড ধরে। তারপর মুখ বন্ধ করে ১০ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। ইতিমধ্যে ওষুধ ফুসফুসের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।দ্বিতীয় চাপ নেওয়ার আগে কমপক্ষে এক মিনিট অপেক্ষা করুন

স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের পর মুখ ভালো করে কুলকুচি করে পরিষ্কার করে নিন, নয়তো জিভে বা মুখে ছত্রাক সংক্রমণের ভয় থাকে। কখনো গলার স্বর ভারী হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো, রাতে ইনহেলার ব্যবহারের পর দাঁত ব্রাশ করে কুলি করে নেওয়া।

ইনহেলার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। ফ্রিজে নয়। ইনহেলার ব্যবহারের আগে মেয়াদ আছে কি না, দেখে নিন।ইনহেলারের মাউথপিস ও ক্যাপ হালকা গরম পানিতে পরিষ্কার করা যাবে, ওষুধ সংরক্ষিত ছোট্ট ধাতব বোতলটা নয়। ক্যাপ ও মাউথপিস পানিতে ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে।

অনেক সময় স্পেসারের সাহায্যে ইনহেলার ব্যবহার করতে বলা হয়। এতে ওষুধ আরও সহজে ও বেশি প্রবেশ করে।ড্রাই পাউডার ইনহেলার চাকতির মতো। জোরে শ্বাস ছেড়ে বুক খালি করে তারপর ইনহেলার মুখে পুরে পাউডারটা টেনে নিন। এ ক্ষেত্রে শ্বাস টেনে নিতে হবে জোরে আর দ্রুত। তারপর ইনহেলার বের করে মুখ বন্ধ অবস্থায় শ্বাসটা ধরে রাখুন ১০ সেকেন্ড।

আর/এস 

 

 

 

Leave a Comment