মাতৃগর্ভে শিশুর ত্রুটি সম্পর্কে সচেতন হোন

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • জুলাই ২৩, ২০১৮

জন্মগত ত্রুটি, জিনবাহিত বা বংশগত রোগ প্রতিরোধে আগে থেকে সচেতনতা দরকার। আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক জিনবাহিত রক্তরোগ। মা-বাবা এ রোগের বাহক হলে সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জন্মাতে পারে।

দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ ভাগ অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই মুহূর্তে নিজের অজান্তেই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। প্রতিবছর প্রায় সাত হাজার অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০টি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মায়। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সারা জীবন অন্যের রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে হয়। তাদের আয়ু পরিসীমাও কম। বিশ্বের অনেক দেশে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বা গর্ভধারণের আগে স্বামী-স্ত্রীর থ্যালাসেমিয়া আছে কি না, তা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে রোগটি নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হচ্ছে। মা-বাবার কোনো জিনগত ত্রুটি না থাকলেও বিভিন্ন কারণে শিশু এমন সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে। যেমন ডাউন সিনড্রোম। এটি এমন একটি জিনগত ত্রুটি, যাতে শিশু শারীরিক বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হতে পারে। জন্মগতভাবে এদের বেশির ভাগের হূদেরাগও থাকে। এ কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশু জন্মের পরই মারা যায়।

অধিক বয়সে সন্তান ধারণকে অনেক সময় এমন শিশুর জন্মের জন্য দায়ী করা হয়।যেসব মা-বাবার থ্যালাসেমিয়া বা ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশু আছে, তাঁরা সাধারণত ভীত হয়ে আর সন্তান নিতে চান না। মাতৃজঠরে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা তাঁদের ভরসা জোগাতে পারে। ইতিপূর্বে এ ধরনের পরীক্ষার জন্য গর্ভবতী মাকে বিদেশে যেতে হতো। বর্তমানে মাতৃজঠরে শিশুর জন্মগত রোগ নির্ণয়ের ডিএনএ পরীক্ষা বাংলাদেশেই সম্ভব হচ্ছে।

আর/এস 

Leave a Comment