ব্যথায় সেঁক দেয়া হয় কেন?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ১৪, ২০১৮

শরীরে কোথাও ব্যথা করলে ডাক্তার সেঁক দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেঁক কীভাবে কাজ করে বা গরম সেঁক দেবেন নাকি ঠান্ডা সেঁক এ নিয়ে অনেকে দ্বিধায় ভোগেন। আসলে গরম, ঠান্ডা দুটো সেঁকই উপকারি 

গরম সেঁক
গরম সেঁক বা তাপ দেওয়া হলে শরীরের ওই নির্দিষ্ট অংশে রক্তপ্রবাহ বাড়ে। মাংসপেশি বা সন্ধির স্টিফনেস বা জড়তা কাটাতে সাহায্য করে তাপ। কিন্তু যেকোনো আঘাতের প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গরম সেঁক না দেওয়াই উচিত। এতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে গিয়ে প্রদাহ বা ফোলা আরও বাড়তে পারে।

যেসব ব্যথায় গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে:
আর্থারাইটিস বা বাতের ব্যথা: বাতের ব্যথায় গরম সেঁক দিন। তাতে বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা দ্রুত সেরে যাবে। গরম সেঁক দিলে পেশিগুলো নরম হবে এবং আরাম পাবেন। তবে জয়েন্টের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলে প্রথমে ঠান্ডা সেঁক দিন। এরপর ফোলা কমানোর জন্য গরম সেঁক দিন।

ফ্রোজেন শোল্ডার বা ঘাড় ব্যথা: ঘাড় ব্যথায় কেউ কেউ ঠান্ডা সেঁক দিয়ে থাকেন।এটি একেবারেই করা উচিত নয়। ঠান্ডার বদলে বরং ঘাড়ের ব্যথায় গরম সেঁক দিলে উপকার পাবেন।

পেট ব্যথা: পেটের ব্যথায় গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে।

গরম সেঁক দেওয়ার নিয়ম: গরম সেঁক দেওয়ার নিয়ম হলো, একটা তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চিপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। অথবা হট ওয়াটার ব্যাগ বা বিদ্যুতায়িত প্যাডের মাধ্যমে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
সতর্কতা: স্নায়বিক দুর্বলতায় অতিরিক্ত গরমের অনুভূতি অনেকে টের পান না (যেমন ডায়াবেটিসের রোগীরা)। ফলে সেঁক দেওয়ার সময় বেশি গরমে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। রাতে ঘুমের মধ্যে কাঁথা বা কম্বলের নিচে হট ওয়াটার ব্যাগ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া ঠিক নয়। এতে ঘুমের মধ্যে বেশি গরমে ইনজুরি হতে পারে। ইলেকট্রিক প্যাড নিয়ে তো নয়ই। গরম পানিতে পা ডোবানোর সময় সাবধান। আগে হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন কতটা গরম।

আর/এস 

Leave a Comment