শিশুর হাম হলে কী করবেন!

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ১৬, ২০১৮

হাম একটি  ভাইরাস জনিত ছোয়াচে রোগ যা কিনা একজন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে আরেকজন সুস্থ মানুষের মাঝে ছড়ায়। হাম সাধারণত   আরএনএ প্যারামিক্সক নামক ভাইরাস এর মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণত শিশুরা হামে  আক্রান্ত হয়ে থাকে আর তাই ১৮ মাস বয়সে শিশুদের হামের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বড়দের ও হাম হতে পারে, তাই হাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বড়দের ‘’এমএমআর’’ নামক ভ্যাক্সিন দেয়া হয়।

হাম হলে প্রথমে জ্বর হয় ও শরীর ম্যাজম্যাজ করে বা হালকা ব্যথা লাগে। প্রথম এক-দুই দিন অনেক তীব্র জ্বরও হতে পারে। চোখ-মুখ ফুলে উঠতে পারে। চোখ লাল হয়ে যেতে পারে, চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়তে পারে এবং হাঁচিও হতে পারে। শরীরে র্যাশ বা ছোট ছোট লালচে গুটি/ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং দ্রুতই তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ সময় বিশেষ করে শিশুরা কিছুই খেতে চায় না এবং ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে।

হাম হলে অবহেলা করা যাবে না। হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। হামে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। আর একটু পরপর ভেজা তোয়ালে বা গামছা বা নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। হাম হলে রোগীকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হয়। এ সময় বাসা থেকে বের না হওয়াই ভালো। অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর স্বাভাবিক খাবারদাবারের পাশাপাশি রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবারও দিতে হবে।

কোনো শিশু হামে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি আসলে তারও হাম হতে পারে। তবে কাছাকাছি যে আসতেই হবে, তাও নয়। কারণ, হাম হয়ছে এমন ব্যক্তি কোনো স্থান ছেড়ে চলে গেলেও বাতাসে হামের জীবাণু প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এ কারণেই সময় মতো অর্থাৎ শিশুর নয় মাস পূর্ণ হলে এবং ১৫ মাসে হামের টিকা দেওয়া জরুরি। আগে একবার হামের টিকা দেওয়া হতো। কিন্তু একবার টিকা দিলে প্রায় ৯৩% সফলতার সম্ভাবনা থাকে। তবে  দুই ডোজ দিলে এটি বৃদ্ধি পেয়ে  ৯৭ % হয়। তাই দুই ডোজ টিকা দেওয়া জরুরি।

 

আর/এস 
 

Leave a Comment