‘সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথিমেটোসাস’ এর লক্ষণ

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ১৮, ২০১৮

সাধারণত বিশ থেকে চল্লিশ বছরের নারীদের মধ্যেই এসএলইতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে যেকোন বয়স ও বর্ণের (Race) মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। নারীরা পুরুষদের তুলনায় সাধারণত নয় গুণ বেশি এসএলইতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। অনেক সময় এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকতে পারে অর্থাৎ রোগীর এক বা একাধিক নিকটাত্মীয়ও এই অসুখে ভুগে থাকতে পারেন।

এসএলই একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। অল্পকিছু দিনের চিকিৎসায় এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। একজন রোগী যত বেশি দিন এই রোগে ভুগবেন, তার শরীরের এই রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতাও তত বেশি হবে। ঘন ঘন বিভিন্ন রোগ-জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়া, বুকে পানি জমা, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা, হার্টের অসুখ, হঠাৎ প্রচন্ড পেটে ব্যথা, মস্তিষ্ক সংক্রান্ত জটিলতায় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী এসএলই থেকে অনেক সময় লিম্ফোমা(Lymphoma) জাতীয় ক্যান্সারও হতে পারে। এসএলই প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় কিন্তু এসএলইর কারণে যেসব জটিলতা হয় সেগুলো অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই রোগ নির্ণয়ে ও এর চিকিৎসা শুরু যত দ্রুত করা সম্ভব ততই তা রোগীর জন্য উপকারী হবে।

এসএলইর লক্ষণ

- দীর্ঘদিনের হালকা জ্বর।

- শারীরিক অবসাদ ও হাত-পা কামড়ানো।

- ক্ষুধামন্দা ও ওজন কমে যাওয়া।

- নাকের উপর ও গালের দু’পাশে প্রজাপতির পাখার মত বিন্যাসে লাল ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ হওয়া, যাকে ইংরেজিতে ‘বাটারফ্লাই র‍্যাশ’ (Butterfly Rash) বলা হয়।

- শরীরের বিভিন্ন অস্থসন্ধিতে ব্যাথা হওয়া।

- রোদে গেলে চামড়ায় অস্বস্তি হওয়া এবং লাল ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ (Rash) হওয়া।

- মুখের ভিতরে, জিহ্বায়, মাড়িতে বা ঠোঁটে ঘা হওয়া।

- চুল পড়ে যাওয়া।

- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চাকা অনুভব করা বা লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া।

- কাশি হওয়া এবং জোরে শ্বাস নিতে গেলে বুকে ব্যাথা অনুভব করা।

- প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া বা রক্তলাল প্রস্রাব হওয়া।

 

আর/এস 

Leave a Comment