গরুর মাংস খান তবে সচেতনতার সাথে

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ১৯, ২০১৮

স্বাদের দিক থেকে বিবেচনা করলে গরুর মাংসের জুড়ি নেই। অনেকেই আছেন আছেন যারা গরুর মাংস খেতে এতই পছন্দ করেন যে, একবেলাও মাংস ছাড়া খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। তবে গরুর মাংস এত বেশি খাওয়া কী ঠিক? মোটেও না। যে কোনো ধরণের খাবারেরই ভালো-খারাপ দুটি দিকই থাকে।

লাল মাংসে কারনিটাইন নামের এক ধরনের উপাদান থাকে যা হার্টের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধায় আর হার্টের শিরায় জমাট বাঁধা রক্ত হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় বহুগুণ। তাছাড়া গরুর মাংস অতিরিক্ত খেলে রক্তে চর্বি বেড়ে যায়। এসব সমস্যা প্রতিরোধে গরুর মাংস কম খান, সবজি খান বেশি বেশি। হার্টের ওপর চাপ কমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের অধিক গ্রহণ কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রশনে ২০০৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, মাংস, লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস পরিমাণে কম খেলে আয়ু বাড়ে।

আর্কাইভ অব ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিনে ২০১২ সালে প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায়, গরুর মাংস বেশি খেলে মানুষ দ্রুত মারা যায়। এর কারণ হৃদরোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাওয়া। নিয়মিত গরুর মাংস গ্রহণকারীদের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে ১৮ শতাংশ বেশি আর প্রক্রিয়াজাত লাল মাংস গ্রহণকারীদের ঝুঁকি বাড়ে ২০ শতাংশ।

গরুর মাংসে চর্বি থাকায় ওজন বাড়ে, খাওয়া কমালে ওজন কমে। ওজন বাড়া টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই গরুর মাংস খাওয়া কমিয়ে লো ক্যালোরির সবজির ডায়েট মেনে চলুন। এছাড়া গরুর মাংসের অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্ষতিকর। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। বেশি বেশি গরুর মাংস খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

গরুর মাংস রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিসের সমস্যা বাড়ায়। তাই এটি খাওয়া কমালে সমস্যা অনেকটা কমে। গরুর মাংস বেশি খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রোটিনের ভালো উৎস গরুর মাংস। তবে বেশি প্রোটিনের কারণে এটি অতিরিক্ত খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। গরুর মাংস খেয়েও ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন তবে খেতে হবে রয়ে-সয়ে। মাংস কাটার চর্বি ফেলে দিন। বেশি তেলের চাইতে অল্প তেলে রান্না করে মাংস খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা এড়ানো সম্ভব।

আর/এস 

Leave a Comment