কীভাবে বুঝবেন আপনার হাঁপানি আছে কিনা

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২১, ২০১৮

হাঁপানি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের অনেকের মধ্যেই বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা।ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী সরু সরু অজস্র নালী পথ রয়েছে। ধুলা, অ্যালার্জি বা অন্যান্য নানা কারণে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে ওঠে এবং অক্সিজেন বহনকারী নালী পথ সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়।

হাঁপানির প্রধান উপসর্গ স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অল্পতেই ঠাণ্ডা লেগে কাশি বা বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই করে শব্দ হওয়া।রাত বাড়লে এ সমস্যাও বেড়ে যায়।

- অ্যালার্জি এই অসুখের এক অন্যতম কারণ। ধুলা, ধোঁয়া, তুলার আঁশ, পশুপাখির লোম, রান্নাঘর ও বিছানার ধুলা, বাতাসে ভেসে থাকা ফুলের রেণু ইত্যাদি শ্বাসনালীর সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলি ‘অ্যাজমা অ্যাটাক’-এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও রাসায়ানিকের উগ্র গন্ধ, গ্যাস হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

- কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যাজমার অ্যাটাক হতে পারে।

- ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ- তা হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তানসম্ভবা কোনও মহিলা ধূমপান করলে তার গর্ভজাত শিশুর হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

- ঋতুপরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি-কাশি হাঁপানির প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

- পরিবারে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে এই অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

- অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অবসাদ হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

- অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, কনকনে ঠাণ্ডা পানি বা ঠাণ্ডা পানীয় খাবার অভ্যাস হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

আর/এস 

Leave a Comment