মোটা হতে পারেন ভাইরাসের প্রভাবেও

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ২৭, ২০১৮

হঠাৎ খেয়াল করলেন আপনি মোটা হয়ে যাচ্ছেন। চিন্তিত হয়ে পড়লেন। কেননা মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে রয়েছে অনেক রোগের সম্পর্ক! মোটা হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সত্যি হুমকি। মুটিয়ে যাওয়ার মূল কারণ শরীরে বাড়তি মেদ জমে যাওয়া। শরীরে মোট ওজনের তুলনায় ১৫ শতাংশ মেদ বেড়ে গেলে মুটিয়ে যাওয়া বলা যেতে পারে। মুটিয়ে যাওয়াকে মোটামুটি দুভাগে বিভক্ত করা হয়। খাবার এবং ব্যায়ামের কারণে প্রাথমিক মুটিয়ে যাওয়া হতে পারে। দ্বিতীয়টি শরীরের হরমোনজনিত রোগের কারণে হতে পারে।

মুটিয়ে গেলে যেসব রোগ হতে পারে : করোনারি হার্ট ডিজিস। এনজাইনা পেক্টোরিস। ইউরিক অ্যাসিড নেফ্রোলিথিয়াসিস। ইনসুলিন ডিপেন্ডেড ডায়বেটিস। গলস্টোন। ডিপ্রেশন ইত্যাদি। মুটিয়ে যাওয়ার পেছনে উপরিল্লিখিত কারণ ছাড়াও বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের ভূমিকাও আবিষ্কার করেছেন। ভাইরাসজনিত কারণে মুটিয়ে যাওয়া নিয়ে ওয়েন স্টেট ইউনিভার্সিটির ভারতীয় গবেষক ডা. নিখিল ধুরন্ধর ইনফেক্টোবেসিটি  নামকরণ করেছেন। অ্যাডেনোভাইরাস-৩৬ (অফ-৩৬) নামক ভাইরাস এ ধরনের মুটিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। এ ভাইরাসের প্রায় ৫০ রকম রূপ আছে। এসব ভাইরাসের কারণে সর্দি, পেট খারাপ, চোখ লাল হয়। অ্যাডেনোভাইরাস ফ্যাটসেল প্রভাবিত করে তাদের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। অ্যাডেনোভাইরাসের একটি বিশেষ জিন (ঊ৪ঙৎভষ) ফ্যাটসেল বা চর্বিকোষের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, গবেষণায় দেখা গেছে, এ ভাইরাস কিছু লোককে স্থূলকায় করছে, কিছু লোককে করছে না।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরের গঠন, উচ্চতা ইত্যাদির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সে অনুযায়ী ওজন বাড়াতে বা কমাতে হবে। অনেকে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপোস করে থাকেন। এটা একেবারেই ভুল পদ্ধতি। এর চেয়ে বরং কী কী খাবার কীভাবে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সে বিষয়ে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

আর/এস 

Leave a Comment