এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি নির্ণয়ের জন্য প্রথমে একজন ডাক্তার পেলভিক পরীক্ষা করে থাকেন। এ পরীক্ষায় ব্যাথার উৎস কিংবা কোথাও জমাট বাধা কিছু আছে কি না তা খুঁজে বের করা হয়। এছাড়াও ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ইউটেরাস পরীক্ষা করেন যেন ইউটেরাসে কোন ভ্রূণ বৃদ্ধি পাচ্ছে নাকি এর বাইরে তা নির্ণয় করা যায়। হিউম্যান কোরিওনিক গোন্যাডোট্রপিন (HCG) হরমোনের মাত্রাও এটি নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করানো হয়। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে উৎপন্ন HCG হরমোন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। এছাড়াও ডাক্তার প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রাও পরীক্ষা করাতে দিতে পারেন। এটিও এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে কম উৎপন্ন হয়।

এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি নির্ণয়ের জন্য আরেকটি পরীক্ষা হল কালডোসেন্টেসিস। এ পদ্ধতিতে ভ্যাজাইনার উপরিভাগে ইউটেরাসের পিছনে এবং মলদ্বারের পেছনে একটি সুঁই প্রবেশ করানো হয়। এভাবে দেখা হয় এই অংশে কোথাও জমাট রক্তের সন্ধান পাওয়া যায় কি না। পেলে ধরে নেয়া হয় এটি ফ্যালোপাইন টিউব থেকে রক্তপাতের কারণে হয়ছে যা এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি নির্দেশ করে।

আর/এস 

Leave a Comment