এন্ডোমেট্রিয়াম (Endometriosis)

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮

জরায়ুর ভেতরের দিকের দেয়ালের মিউকাসের আবরণ বা টিস্যুর স্তরকে এন্ডোমেট্রিয়াম বলে। এই টিস্যুর স্তর জরায়ুর ভেতরে তৈরী না হয়ে বাইরে তৈরী হলে তাকে এন্ডোমেট্রিয়োসিস বলা হয়। এই ত্রুটির ফলে প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়। সাধারণত ডিম্বাশয়, অন্ত্র বা পেলভিসের টিস্যুর স্তরে এটি হয়ে থাকে। এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু কখনও কখনও পেলভিসের বাইরেও ছড়াতে পারে, তবে এটি খুব কমই হয়ে থাকে।

এন্ডোমেট্রিয়োসিস হলে স্থানচ্যুত এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যুগুলো অন্যান্য টিস্যুর মত সাধারণভাবেই কাজ করতে থাকে। এগুলো বিভক্ত ও ঘন হতে পারে এবং মাসিকের সময় রক্তপাত ঘটায়। যেহেতু এই টিস্যুগুলো কোনোভাবে শরীর থেকে বের হতে পারে না, সেজন্য এগুলো শরীরের ভেতরে আটকা পড়ে যায়। এটি ডিম্বাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে এন্ডোমেট্রিয়োমাস নামক সিস্টের সৃষ্টি করে। এর ফলে আশেপাশের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্ষতস্থান তৈরী হয়।

এন্ডোমেট্রিয়োসিসের ফলে ব্যথা হতে পারে। মাঝে মাঝে বিশেষ করে মাসিকের সময় এই ব্যথা তীব্র হতে পারে। একই সাথে এটি সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ রোগের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

কারণ

এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ সহ রক্ত মাসিকের সময় শরীর থেকে বের না হয়ে বিপরীতমুখী হয়ে ফেলোপিয়ান টিউব ও পেলভিক ক্যাভিটিতে পরিবাহিত হয়। এই স্থানচ্যুত এন্ডোমেট্রিয়াল কোষগুলো পেলভিসে আটকা পড়ে যায় এবং বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ও ঘন হয়ে মাসিকের সময় রক্তপাত ঘটায়। এটি এন্ডোমেট্রিয়োসিসের অন্যতম প্রধান কারণ।

যে কোষ দ্বারা তলপেট ও পেলভিক ক্যাভিটির আস্তরণ তৈরী হয় তা এম্ব্রায়োনিক কোষ থেকে তৈরী হয়। তলপেটের আস্তরণের এক বা একাধিক আস্তরণ এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যুতে রূপান্তরিত হলে এন্ডোমেট্রিয়োসিস দেখা দেয়।

হিস্টারেকটমি বা সি-সেকশনের মত সার্জারির পর অপারেশনের ফলে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় সেখানে এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ সৃষ্টি হতে পারে।

রক্তপ্রবাহ বা টিস্যুর বিভিন্ন তরলের সাহায্যে এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ শরীরের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হতে পারে।

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে জরায়ুর বাইরের যে এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু তৈরী হয় তা অক্ষত অবস্থায় থেকে যায় এবং রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো তা চিহ্নিত করতে পারে না।

আর/এস 
 

Leave a Comment