ভ্যাজাইনাসমাস (Vaginismus)

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮

যৌন অক্ষমতা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে এবং এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই ও এটি কোন দোষ নয়। এই সমস্যা চিকিৎসার মাধ্যমে ভাল করা সম্ভব। তা সত্ত্বেও এটি সম্পর্ক ও জীবনযাত্রার উপর প্রভাব ফেলে।

সাধারণত যৌনমিলনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে মহিলাদের ভ্যাজাইনাল মাসল বা পেশি সংকুচিত-প্রসারিত হতে থাকে। কখনো কখনো ট্যাম্পুন ব্যবহার বা যোনীপথে স্পর্শ করার জন্যেও এই সংকোচন-প্রসারণ হতে পারে। এই সমস্যাটিকে ভ্যাজাইনিসমাস বলে। এই সমস্যা যৌনাকাঙ্ক্ষার উপর প্রভাব না ফেললেও এর কারণে যৌনমিলন ব্যহত হয় এবং এমনকি যৌনমিলনের সময় প্রচণ্ড ব্যথাও হয়ে থাকে।

পেল্ভিক পরীক্ষার মাধ্যমে এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না এবং এ অবস্থায় শারীরিক কোন অস্বাভাবিকতাও দেখা যায় না।

কতজন মহিলা এই সমস্যায় আক্রান্ত তা বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত জানতে পারেন নি।

কারণ
এই রোগ পূর্বের কোন শারীরিক নির্যাতন, যৌনমিলনের সময় ব্যথা হওয়া এবং অন্য কোন মানসিক সমস্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকে। কখনো কখনো কোন ধরনের কারণ বা লক্ষণ ছাড়াও এই রোগ হতে পারে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সেক্সুয়াল হিস্টরি জানার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা এই রোগ নির্ণয় করে থাকে। 

লক্ষণ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন: 

- যৌনমিলনের সময় ব্যথা হওয়া

- পেল্ভিসে বা শ্রোণীচক্রে ব্যথা হওয়া

- যোনীপথে ব্যথা

- পেটে তীক্ষ্ণ ব্যথা

- ঘন ঘন মূত্রত্যাগ

- তলপেটে ব্যথা

- যোনির শুষ্কতা

- যোনী দিয়ে স্রাব নির্গত হওয়া

আর/এস 

Leave a Comment