সিজারিয়ান ডেলিভারিতে আসলে কী করে? 

  • তাশফিয়া আমিন 
  • সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

সাধারণত অপারেশনের প্রায় ছয় ঘণ্টা আগে থেকে রোগীকে কিছু খেতে মানা করা হয়। রোগীকে অচেতন করার প্রক্রিয়া, অপারেশনের পদ্ধতি, ফলাফল, সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত করে রোগীর অবিভাবকের কাছ থেকে লিখিত সম্মতিপত্র গ্রহণ করা হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে একই রক্তের গ্রুপ সম্পন্ন ব্যক্তিদের অপারেশনের সময় উপস্থিত থাকতে বলা হয়। প্রয়োজনে তৎক্ষণাৎ যেন তারা রোগীকে রক্ত দিতে পারেন। 

কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগে থেকেই রক্ত টেনে রাখতে হতে পারে। উপযুক্ত Shave clean এর পর নির্ধারিত সময়ে রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়। সেখানে বাচ্চার হার্ট বিট পুনরায় পরীক্ষা করে রোগীকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Spinal আনেস্থেসিয়া, কিছু কিছু ক্ষেত্রে General anesthesia মাধ্যমে অচেতন করা হয়। Spinal anesthesiaতে কোমরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে কোমর থেকে শরীরের নিম্নাংশ অচেতন করা হয়। অতঃপর রোগীকে অপারেশনের টেবিলে শুইয়ে দেওয়া হয়। রোগীর যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে তবে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। 

শরীর অচেতন হয়ে যাওয়ার পর এন্টিসেপটিক সলিউশন দিয়ে অপারেশনের স্থান পরিষ্কার করে শরীরের বাকি অংশ জীবাণুমুক্ত কাপড় দিয়ে ঢেকে তলপেটে incision দেওয়া হয়। এই Incision প্রথমে চামড়ায় অতঃপর নিম্নস্থ চর্বি, Rectus sheath এবং Peritoneum কেটে জরায়ুতে পৌঁছে । জরায়ুর নিচের অংশে আড়াআড়ি কেটে বাচ্চাটি বের করে আনা হয়। বাচ্চার পর জরায়ুর গায়ে লেগে থাকা গর্ভফুলটিও বের করে আনা হয়। এরপর একে একে জরায়ু, কিছু ক্ষেত্রে মাংসপেশি, Rectus sheath এবং চামড়ায় সেলাই দিয়ে অপারেশন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা হয়। সাধারণত অপারেশনের ছয় ঘণ্টা পর মুখে পানি ও তরল খাবার দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে নরম খাবার এবং স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয়। অপারেশনের পর রোগীকে শিরাপথে এন্টিবায়োটিক ও স্যালাইন দেওয়া হয়। রক্তশূন্যতা থাকলে রোগীকে রক্তও দিতে হতে পারে।

Leave a Comment