জরায়ুতে টিউমার কেন হয়? প্রাথমিক উপসর্গগুলো কি কি? 

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • অক্টোবর ৫, ২০১৮

জরায়ুর পেশির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে যে টিউমারটি হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা সায়োমা। সাধারণত প্রজননক্ষম বয়সে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি এ ধরনের টিউমার দেখা দেয়। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যান্সার নয়। অনেক সময় গাত্রে বা জরায়ু গহ্বরে নানা ধরনের টিউমার সৃষ্টি হতে পারে। এর আকার মটরকলই থেকে আধা কেজি পর্যন্ত এবং এক সাথে ৮-১০টি পর্যন্ত হতে পারে। কোনো কোনো টিউমার থেকে পুঁজ রক্ত বের হতে পারে আবার কোনো কোনো টিউমার থেকে এ জাতীয় স্রাব নাও হতে পারে। একে Fibroma Myoma/Fibroid Myoma বলে।

কারণ :

১. ফাইব্রয়েডের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়।

২. জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে রক্তনালির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না।

৩. জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবের সংযোগস্থলে বা এমন কোনো জায়গায় টিউমারটির অবস্থান হয়, যা ভ্রূণকে সুস্থিত হতে বাধা দেয়। 

৪. জরায়ু পেশির ওপর অনবরত চাপ পড়া, জোর পড়া।

৫. বংশগত কারণ।

৬. হাইপার আসট্রিনিজম।

লক্ষণ :

১. বহুদিন স্থায়ী ঋতু, পেট কেটে ফেলার ন্যায় বেদনা, কাটা বর্ণের প্রদর স্রাব। অতি দুর্গন্ধযুক্ত প্রদর হয়।

২. শীর্ণতা, তৎসহ যথেষ্ট ক্ষুধা ও পিপাসা।

৩. জরায়ুতে জারাকর বেদনা, পেট ফাঁপা, মূত্ররোধ।

৪. প্রচুর পরিমাণে বহু দিন স্থায়ী ঋতু স্রাব

৫. ফুসকুড়ির মতো টিউমার, সঙ্গমকালে বেদনা।

৬. অত্যধিক শিরা স্ফীত, ঋতুস্রাবের পর প্রচুর ঘাম।

৭. ঋতুর আগে ও পরে প্রচুর কালো দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব।

৮. জরায়ুর মধ্যস্থ সৌত্রিক টিউমার হতে রক্ত স্রাব তৎসহ পিটে বেদনা। প্রাথমিক অবস্থা থেকেই লক্ষণ দেখে চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়

চিকিৎসা :

মূলত অস্ত্রোপচারই ফাইব্রয়েড টিউমারের প্রধানতম চিকিৎসা। ওষুধের মাধ্যমে এর স্থায়ী চিকিৎসা হয় না। অস্ত্রোপচার প্রধানত দুই ধরনের। 

১. বয়স ৪৫-এর বেশি ও Family Complete অর্থাৎ আর বাচ্চা নেওয়ার ইচ্ছা না থাকলে জরায়ু ফেলে দেওয়া। 

২. প্রজননক্ষম বয়স এবং যাদের বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মায়োমেটমি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফাইব্রয়েডকে জরায়ুর দেয়াল থেকে তুলে এনে আবার তা সেলাই করে দেওয়া হয়। এতে জরায়ু কেটে ফেলার প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে এই অস্ত্রোপচার পেট কেটে বা ছিদ্র করে উভয় পদ্ধতিতেই করা হয়।

জেনে রাখা জরুরি : 

১. এই অস্ত্রোপচারের সময় বেশ রক্তপাত হতে পারে। ২০-২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সময় জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment