সিজার এড়াতে চাইলে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • অক্টোবর ৯, ২০১৮

গর্ভবতী নারীর কাছে এক আতঙ্কের নাম সিজার। এক দু’জন ব্যাতিক্রম বাদে পরিবারের কেউই চান না গর্ভবতীর সিজার হোক। তবু দিন দিন সিজারের পরিমাণ বাড়ছে। উন্নত দেশে সিজারকে অনুৎসাহিত করা হলেও আমাদের দেশে কার্যত তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। মা ও তার গর্ভস্থ সন্তানের নিরাপত্তাসহ নানা দিক বিবেচনায় রেখে সিজার করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। সিজার বাড়ার পেছনে রোগীর স্বজনরা ডাক্তারদের বাণিজ্যিক মনোভাবকে দায়ী করলেও সিজার করানোর ক্ষেত্রে অন্ত:স্বত্ত্বা ও অভিভাবকদের দায়ও কম নয়। অনেকে প্রসবকালীন বেদনা থেকে বাঁচতে সিজারের সিদ্ধান্ত নেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, মায়ের গর্ভাবস্থায় সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে সিজার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নারী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই যদি কিছু নিয়ম মেনে চলে তাহলে স্বাভাবিক প্রসব হওয়া সম্ভব। সেই নিয়মগুলো একটু দেখে নিন : 

প্রথমত, মায়ের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাসবোধ থাকতে হবে যে, তিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করবেন।

দ্বিতীয়ত, lugel exercise নামে এক ধরণের ব্যায়াম আছে। যাতে পেলভিক এলাকার মাংসপেশী সংকোচন ও প্রসারণ করার মাধ্যমে কটি দেশের প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়।

তৃতীয়ত, গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে প্রশ্বাস ছাড়লে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। অন্ত:স্বত্ত্বার ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বড় একটি সমস্যা। তাই এ পদ্ধতি অবলম্বন করে নিস্কৃতি পেতে পারেন।

চতুর্থত, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হাঁটলে সাঁতার কাটলে ও হালকা কিছু ব্যায়াম করলে অন্ত:স্বত্ত্বা শারীরিকভাবে শক্ত-সামর্থ্যবান থাকেন। যা স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে সহায়ক হয়।

পঞ্চমত, নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে কোনো রোগ থাকলে যেমন হাইপার টেনশন ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মা নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করতে পারেন।

ষষ্ঠত, ডাক্তারের দেওয়া খাদ্য তালিকা অনুসরণ করলে সন্তান খুব বড়ও হয় না আবার ছোটও হয় না। ফলে স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পরিশেষে, সিজারে সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মায়ের জীবন যেমন ঝুঁকির মুখে পড়ে তেমনি পরবর্তীতে মাকে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতার শিকার হতে হয়। তাই সিজারকে `না ` বলাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

সূত্র : গুগল 

Leave a Comment