যেভাবে নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ করবেন থ্যালাসেমিয়া!

  • তন্ময় আলমগীর
  • অক্টোবর ২২, ২০১৮

মানুষের রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরী হয় দুটি আলফা প্রোটিন ও দুটি বিটা প্রোটিন দিয়ে। যদি এই প্রোটিনগুলোর উৎপাদন শরীরে কমে যায়, তবে শরীরের হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনও কমে যায়। যার ফলে দেখা দেয় থ্যালাসেমিয়া। থ্যালাসেমিয়ার কারণে শরীরে লোহিতকণিকার পরিমান কম এবং এর আকার ছোট হলে এমেনিয়া হতে পারে। মারাত্মক রকমের থ্যালাসেমিয়া হলে মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনাও ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। 

থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় : হিমোগ্লোবিন লাল রঙের ও প্রোটিন সমৃদ্ধ রক্তের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। থ্যালাসেমিয়ার বাহকের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। রক্তের সিবিসি পরীক্ষার মাধ্যমে তা সনাক্ত করা যায়। সনাক্ত হলে হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেরিস নামের আরো একটি পরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, সে ব্যক্তি থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক কিনা। পরিবারের একজন বাহক হলে সেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্য এবং রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়-স্বজনের থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়ের পরীক্ষা করা আবশ্যক। 

থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ : দুটি উপায়ে থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এক, আক্রান্তদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত। যদিও তা ব্যায়বহুল। দুই, সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো সচেতনতা। বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী বা সন্তান নেওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রী থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা। এভাবে পৃথিবীর অনেক দেশ থ্যালাসেমিয়াকে শুন্যের কোটায় নিয়ে গেছে।  

Leave a Comment