সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় টিপস

  • তাশফিয়া আমিন 
  • নভেম্বর ১, ২০১৮

আমাদের খাদ্যতালিকায় কিছু পরিমাণে চর্বি থাকা প্রয়োজন । কিন্তু খাদ্যে চর্বির ধরণ ও পরিমাণের উপর নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।সম্পৃক্ত এবং অসম্পৃক্ত – মুলত এই দুই অবস্থায় খাদ্যে চর্বি বিদ্যমান। অধিক মাত্রায় সম্পৃক্ত চর্বি বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে ।

বিভিন্ন ধরনের খাদ্যে চর্বি সম্পৃক্ত থাকে যেমনঃ পণির, কেক, মাখন, বিস্কুট, সসেজ, ক্রিম ইত্যাদি। এ ধরনের চর্বিজাতীয় খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করুন। এবং যে সকল খাদ্যে চর্বি সম্পৃক্ত থাকেনা সেগুলো নির্বাচন করুন যেমনঃ উদ্ভিজ তেল, তৈলাক্ত মাছ, ফলমুল। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বল্প পরিমানে উদ্ভিজ তেল ব্যবহার করুন এবং মাখন, ঘি -এর ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করুন । মাংস খাওয়ার সময় দৃশ্যমান চর্বি বাদ দিন।

মিষ্টিজাতীয় খাদ্য এবং পানীয়, এছাড়া অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ে উচ্চ মাত্রায় শক্তি বিদ্যমান (ক্যালরি ও কিলোজুল দ্বারা পরিমাপকৃত)। এগুলো ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এগুলো খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। চিনিযুক্ত কার্বোনেটেড পানীয় এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গ্রহণের পরিমান কমাতে হবে। নাস্তায় ব্যবহৃত চিনিযুক্ত খাদ্যশস্য, কেক বিস্কুট এবং পেস্ট্রি খাওয়ার পরিমান কমাতে হবে।যেগুলোতে অধিক চিনি ব্যবহার করা হয় , সেগুলো পরিহার করা উচিত । বরং কিছু খাদ্যে এমনিই চিনি পাওয়া যায় যেমন, ফল এবং দুধ । খাদ্যে চিনি কতটুকু বিদ্যমান তা পরীক্ষা করা যায় । প্রতি ১০০ গ্রামে ২২.৫ গ্রাম এর বেশি চিনি থাকার অর্থ উচ্চ পরিমানে চিনিযুক্ত খাবার। পক্ষান্তরে, প্রতি ১০০ গ্রামে ৫ গ্রাম চিনির কম থাকলে সেই খাদ্যটিতে কম মাত্রায় চিনি বিদ্যমান । চেষ্টা করুন চিনি এড়িয়ে যেতে, এটা শরীরের জন্য ভালো।

Leave a Comment