বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে যা করনীয়

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • নভেম্বর ৯, ২০১৮

নারীদের জীবনযাত্রায় কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন এনে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে বন্ধ্যাত্বের অনেক কারনের প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ওজন : ওজন বেশি বা কম দুই ক্ষেত্রেই ডিম্বস্ফোটনে সমস্যা হয়। উচ্চতার অনুপাতে যে ওজন স্বাস্থ্যকর, তেমন ওজন বজায় রাখতে পারলে গর্ভধারণের সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।  শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার ওজনকে সুস্বাস্থ্যর সীমার মধ্যে রাখতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাস : আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিকর ও সুষম খাবার নিয়মিতভাবে খেতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিনের খাবারে প্রধান খাদ্য উপাদান গুলো আনুপাতিক হারে থাকতে হবে। শর্করার জন্য ভাত বা রুটি খেতে হবে, আমিষের জন্য মাছ বা মাংস, ডাল খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে ফল ও শাক সবজি থাকতে হবে। সবুজ শাকে প্রচুর ফলিক এসিড থাকে, যা গর্ভস্থ সন্তানের জন্মত্রুটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ : অত্যাধিক চাপও অনেক সময় বন্ধ্যাত্বের কারন হয়ে দাঁড়ায়। ক্রমাগত মানসিক চাপে যৌন আগ্রহ কমে যায়, ফলে যৌনমিলন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। দুই বা তিন দিন অন্তর অন্তর যৌনমিলন হলে গর্ভধারণের সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিরতি বেশি হয়ে গেলে সম্ভবনা কমে যায়। আপনি যদি মানসিক চাপে ভুগতে থাকেন, বিষয়টি আপনার স্বামীকে জানান, প্রয়োজনে মনোবিদ কাউন্সিলরের সাহায্য নিন।

ওষুধ এবং মাদক : গাজা, কোকেন, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, ইত্যাদি সব অবৈধ মাদকই সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমনকি গর্ভধারণ করে ফেললেও গর্ভস্থ সন্তানের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গর্ভধারণের চেষ্টা করা অবস্থায় সব ওষুধও খাওয়া ঠিক না।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা : বয়সভেদে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরই তিন থেকে পাচ বৎসর অন্তর অন্তর ‘পেপস স্মেয়ার’ টেস্ট করানো উচিত। জরায়ু মুখে কোন সংক্রমণ বা অন্য কোন অসুখ আছে কিনা তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝা যায়। অনেক সময় এই অসুখ গুলোর কোন লক্ষন থাকে না, ফলে আপাত কোন সমস্যা দেখা যায় না, কিন্তু ভিতরে ভিতরে এগুলো ঠিকই ক্ষতি করতে থাকে। নিয়মিত ‘পেপস স্মেয়ার’ টেস্ট করালে বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগেই রোগটি নির্ণয় করা যায়।  ‘ক্লামাইডিয়া’ নামক যৌনরোগটিও বন্ধ্যত্ব করে, এটিও মেয়েদের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, কোন লক্ষন থাকে না কিন্তু গর্ভধারণে এবং গর্ভধারণের পরও নানা ধরনের জটিলতা তৈরি করে। ফলে গর্ভধারণের প্রস্তুতিতে যৌনরোগের পরীক্ষাও করানো উচিত।

Leave a Comment