নারীদের অবশ্যই করণীয় ৫টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক :
  • নভেম্বর ১৯, ২০১৮

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো অনেকে অবহেলাবশতঃ কিংবা অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলি। কিন্তু সেসব রোগব্যাধি সাময়িকভাবে অসুবিধার কারণ না হলেও ধীরে ধীরে তা ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করতে পারে। তাই জীবনের নানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নেয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। যে পাঁচটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা নারীদের অবশ্যই করা উচিত তা হলো-

রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল : অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কিংবা রক্তচাপ, মহিলাদের স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে সক্ষম। তাই ২০ বছরের বেশি বয়সের নারীদের অবশ্যই বছরে কমপক্ষে দুইবার রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত।

যৌনমিলনবাহিত সংক্রমণ : যেকোনও নারীর হতে পারে যৌনমিলনবাহিত রোগ । যারা নিয়মিত দাম্পত্য সম্পর্ক যাপন করেন তাদের প্রতি বছর গনোরিয়া ও চামেডিয়া পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

ডায়াবেটিস : সেন্টার ফর ডায়াবেটিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন ৪৫ বছরের বেশী বয়সের মহিলাদের ডায়াবেটিসের পরীক্ষার সুপারিশ করেছে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস আছে অথবা ওজন বেশী এমন নারীরা কমবয়সী হলেও নিয়মিত এ পরীক্ষাটি করা উচিত।

হাড়ের ক্ষয় : মেরুদণ্ড বা নিতম্বের হাড়ের ক্ষয় মাপা এবং অস্টিওপোরোসিস রোগ নির্ণয়ের জন্য ডুয়াল এনার্জি এক্স-রে অ্যাবজর্পটিওমেট্রি অথবা স্ট্যান্ডার্ড বোন ডেনসিটি পরীক্ষা করা হয়। হাড়ের ঘনত্ব বেড়ে গেলে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ৬০ বছর ও তার থেকে বেশী বয়সের নারীদের হাড়ের ঘনত্বের পরীক্ষা করা উচিত।

স্তন ক্যান্সার : ৪০ বছর ও তার থেকে বেশী বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন থাকা দরকার। কারণ এটা বয়স বাড়ার সাথে খুব বেশি সম্পর্কিত। মেমোগ্রাম করানোটা দরকার যেহেতু এতে স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা হবার সম্ভাবনা বোঝা যায়। মেমোগ্রাম হল স্তনের এক্সরে এবং স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক ধাপ বোঝার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। গবেষণা বলে যে, ৪০ বছরের বেশী বয়সী মহিলাদের ক্ষেত্রে মেমোগ্রাম স্ক্রিনিং স্তনের ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর হার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমায়।

Leave a Comment