শিশুর রাতে না ঘুমানোর কারণ ও প্রতিকার

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • নভেম্বর ২২, ২০১৮

সব মায়েরায় বাচ্চার কান্না নিয়ে চিন্তিত থাকেন। জন্মের পর থেকে প্রথম কয়েক মাস শিশুর ঘুমে কিছুটা ভিন্নতা বা পরিবর্তন থাকতে পারে, একেক শিশুর একেক রকম ঘুমের অভ্যাস হতে পারে। তবে প্রথম তিন মাস খিদে, ডায়াপার বদলানো কিংবা শারীরিক কোনো অসুবিধার কারণে একনাগাড়ে অনেক শিশুই ঘুমায় না। কিছুক্ষণ পরপরই ঘুম ভেঙে যায়। 

তবে, তিন মাস পর থেকে শিশুদের জন্য একটা নির্দিষ্ট ঘুমের সময় ঠিক করে ফেলা ভালো। কাজটি অবশ্যই কষ্টকর। কিন্তু একবার যদি শিশুর ঘুমের সময় ঠিক করে ফেলা যায়, তাহলে সেটা আরামদায়ক হবে। সাধারণত দিনের মধ্যে একটা সময় থাকে, যখন আপনার শিশু টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুমাবে। তবে সব শিশুই যে ঘুমাবে তা নয়। শিশুদের ঘুম পাড়ানোর কায়দাও কিন্তু ভিন্ন। প্রথম কয়েকটা দিন একটু ধৈর্য ধরে খেয়াল করলেই বুঝে যাবেন, আপনার শিশু কী চাইছে। রাতে প্রতি ৩-৪ ঘন্টা পরপর বা প্রয়োজন অনুসারে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, ক্ষুধায় যেন ঘুমে সমস্যা না হয় শিশুর, শিশুর ডায়পার চেক করে নিন, প্রয়োজন মত পাল্টে দিন।

শিশুকে দিন-রাত্রির পার্থক্য বোঝাতে চেষ্টা করুন। আপনার নবজাতক প্রতিদিন গড়ে ১৬ ঘণ্টা ঘুমাতে পারে। শিশুকে প্রথমেই শেখান অন্ধকার হচ্ছে ঘুম আর আলো হচ্ছে জেগে থাকা। আর জন্মের দশ সপ্তাহের মধ্যে শিশু দিবা-রাত্রি সম্পর্কে ধারণা পেতে সক্ষম।তাকে বুঝতে সাহায্য করতে হবে, রাত হচ্ছে ঘুমের সময় এবং রাতেই দীর্ঘক্ষণ ঘুমাতে হবে। শিশুটিকে দিনে কিছুটা কম ঘুমাতে পারার মত ব্যস্ত রাখুন, সময় দিন তাকে। রাতে খাওয়ানোর সময় শিশুকে উত্তেজিত করবেন না। নিচু স্বরে কথা বলুন এবং শিশুর চোখে চোখ রাখুন। অন্ধকারে ঘুম এবং নিরবতার বিষয়টি মনে করিয়ে দিন। এটি আপনার শিশুকে বুঝতে সহায়তা করবে যে রাত হচ্ছে ঘুমানোর সময়। এভাবে কিছুদিন চেষ্টা করলে শিশু একটি সাইকেলে চলে আসবে ঘুমের সময়ের জন্য।

Leave a Comment