শীতকালে হার্টঅ্যাটাক

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ডিসেম্বর ৫, ২০১৮

যাদের বয়স ৭৫ থেকে ৮০ তাদেরই শীতের সময়ে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে সবথেকে বেশি। এছাড়াও শিশু এবং বয়োজ্যোষ্ঠ মানুষ যাদের হৃদরোগজনিত সমস্যা রয়েছে তারাও এই সময়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। শীতকালে হরমোনের লেভেলের তারতম্য আসে। যেহেতু শীতকালে দিনরাত্রির পার্থক্য বেড়ে যায়, সেই অনুযায়ী করটিসল নামক হরমোন নিঃসরণেরও তারতম্যঘটে। এটিও শীতকালীন হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ।

শীতকালীন হৃদরোগ প্রতিরোধের কিছু উপায়ঃ

– যদি পূর্বে হৃদরোগের কোন ইতিহাস থেকে থাকে, তাহলে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ এবং হঠাৎ রেগে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

– সবসময় গরম জামাকাপড় পরে থাকুন। আমাদের শরীর সবসময় পরিবেশের সাথে মিলিয়ে একই তাপমাত্রা বজায় রাখতে চায়, যার ফলে শীতকালে হার্টের উপর চাপ বেড়ে যায় এবং রক্তনালী সরু হওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডকে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করতে আরও বেগ পেতে হয়। তাই সবসময় গরম কাপড় পরে থাকার অভ্যাস করুন।

– জ্বর, সর্দি আপনার হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই অবশ্যই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন গ্রহন করুন।

– ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন। যদিও এখন বার বি কিউ এবং বন ফায়ারের সময় তবুও আপনার বয়স ৪৫ এর উপর হলে ধোঁয়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

– কখনোই ডাক্তারের সাথে দেখা করা নিয়ে গড়িমসি করা উচিৎ নয়। শরীর খারাপ মনে হলেই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

– অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত লবন গ্রহন থেকে বিরত থাকুন। অ্যালকোহল হার্টের ছন্দে পরিবর্তন করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

– সবসময় আপনার খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রনে রাখুন। বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার আগে এক বাটি ওটস বা ব্রাউন ব্রেডের তৈরি স্যান্ডউইচ খেয়ে নিন। এতে দাওয়াতে গিয়ে আপনি বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

– যেকোনো শারীরিক পরিশ্রম বা ভারী জিনিস উত্তোলন ইত্যাদি কাজ ধীরে ধীরে শুরু করা উচিৎ। বছরের শুরুতে জীম শুরু করতে চাইলে প্রথম কয়েক মাস হালকা এবং কম পরিশ্রমের ব্যায়াম করুন।

– সিগারেট এবং ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন। এসব বস্তু হৃৎপিণ্ডের কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করে।

– আপনার ডায়াবেটিস থাকলে, ইনসুলিনের ডোজ এমনভাবে নিন যেন তা আপনার শরীরের সাথে খাপ খায়। তাই নিয়মিত রক্তের গ্লুকোজ লেভেল পরিমাপ করুন।

- ভিটামিন ডি এর অভাবে রক্তনালী শক্ত হয়ে যেতে পারে। এটিও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-ডি ট্যাবলেট সেবন করুন বা প্রচুর ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন – কড লিভার অয়েল, মাছ, মাংস, ডিম এবং মাশরুম খান।

Leave a Comment