গর্ভনিরোধ ইমপ্ল্যান্ট কি?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক 
  • ডিসেম্বর ৫, ২০১৮

এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনযোগ্য গর্ভনিরোধ পদ্ধতি। গর্ভনিরোধ ইমপ্ল্যান্ট একটি ছোট নমনীয় নল যার আঁকার ৪০ মিমি. লম্বা। এটি আপনার বাহুর উপরিভাগের ত্বকের নিচে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, এবং এর মেয়াদ ৩ বছর। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে এই গর্ভনিরোধ ইমপ্ল্যান্টটিকে সঠিক জায়গায় ঢুকিয়ে দিতে হয়। এর কার্যকারিতা ৯৯% এরও উপরে।

উপকারিতাঃ

* এটি ৩ বছর ধরে কাজ করবে। এই ইমপ্ল্যান্টের জন্য যৌনসহবাসে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না।

*যদি আপনি ইস্ট্রজেন-যুক্ত (oestrogen-based) কোন গর্ভনিরোধ পদ্ধতি যেমন কম্বাইন্ড গর্ভনিরোধ পিল (combined contraceptive pill), গর্ভনিরোধ প্যাচ (contraceptive patch) বা যোনী রিং (vaginal ring) যদি ব্যাবহার করতে না পারেন, তাহলে বিকল্প হিসাবে আপনি এই গর্ভনিরোধ ইমপ্ল্যান্টটি ব্যাবহার করতে পারেন।

*আপনাকে প্রতিদিন পিল খাওয়ার কথা মনে রাখতে হবে না।

*আপনি এই পদ্ধতি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও ব্যাবহার করতে পারেন।

*আপনি এই গর্ভনিরোধ ইমপ্ল্যান্ট খুলে ফেলার পরপরই আপনার গর্ভধারণের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

*এই ইমপ্ল্যান্ট নানারকম যৌন রোগ (pelvic inflammatory disease) থেকে কিছুটা রক্ষা করে। জরায়ুর মুখ (cervix) থেকে যে শ্লেষ্মা বা লালা তৈরি হয়, তা ব্যাকটেরিয়াকে জরায়ুর ভিতরে ঢুকতে দেয় না। তাছাড়া এটি জরায়ুর ক্যান্সার থেকেও কিছুটা রক্ষা করে।

*এটি ব্যাবহারের প্রথম বছর পর, এটি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা বেদনাযুক্ত রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।

*গর্ভনিরোধ ইমপ্ল্যান্ট জায়গামত ঢুকিয়ে দেওয়ার পরে আপনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পারবেন।

অসুবিধাঃ

*মাসিকে অনিয়মঃ ২০% মহিলাদের এই ইমপ্ল্যান্ট ব্যাবহার করলে কোন মাসিক হয় না এবং ৫০% মহিলাদের মাসিকে অনিয়ম হয় বা মাসিকের সময় দীর্ঘ দিন ধরে রক্তক্ষরণ হয় (prolonged bleeding)। এই পদ্ধতিটি ব্যাবহার করলে রক্তক্ষরণ কিছুটা অনিয়মিতই থাকবে, তবে ব্যবহারের প্রথম বছরের পর মাসিক কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

*মাথা ব্যাথা হতে পারে।

*মুখে ব্রণ ওঠতে পারে।

*বমি বমি ভাব লাগবে।

*স্তনে ব্যাথা হতে পারে।

*মনমেজাজে পরিবর্তন আসতে পারে।

*যৌনমিলনে অনীহা আসতে পারে।

কখন আপনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন না?

*যদি আপনার গর্ভবতী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

*আপনার মাসিক যদি আপনি নিয়মিত রাখতে চান।

*যদি কখনো কখনো আপনার দুই মাসিকের মধ্যের সময়ে আপনার মাসিকের মত রক্তক্ষরণ হয়, অথবা

*যদি যৌনমিলনের পরপর আপনার রক্তক্ষরণ হয়।

*যদি আপনার কোন ধমনীর রোগ (arterial disease) থাকে, অথবা হৃদরোগ (heart disease) বা স্ট্রোকের (stroke) কোন ইতিহাস থাকে।

*যদি কোন রক্তের দলা (blood clot) দিয়ে আপনার কোন রক্তনালী (blood vessel) আটকে যাওয়ার ইতিহাস থাকে। একে থ্রম্বসিস (thrombosis) বলে।

*যদি আপনার যকৃতের রোগ (liver disease) থাকে।

*যদি আপনার মাইগ্রেইন (migraine) থাকে।

*যদি আপনার ডায়াবেটিস (diabetes) এবং ডায়াবেটিস সংশ্লিষ্ট জটিলতা থাকে।

Leave a Comment